সাবেক মাইক্রোসফট সফটওয়্যার প্রকৌশলীকে নয় বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে সিয়াটলের ইউএস ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট। সবমিলিয়ে ১৮টি ফেডারেল অপরাধের সাজা দেওয়া হয়েছে তাকে।
Published : 10 Nov 2020, 10:43 PM
মাইক্রোসফট থেকে এক কোটি ডলারের বেশি হাতিয়ে নিয়েছিলেন মাইক্রোসফটের সাবেক ওই প্রকৌশলী। সম্প্রতি তার সাজার রায় শুনিয়েছেন মার্কিন আইনজীবি ব্রায়ান টি. মোরান।
ভলদিমির কেভাশুক, ২৬ বছর বয়সী ইউক্রেনিয়ান বাসিন্দা। তিনি ওয়াশিংটনের রেনটনে বসবাস করছিলেন। প্রথমে মাইক্রোসফটের সঙ্গে ঠিকাদার হিসেবে কাজ শুরু করেন। পরবর্তীতে ২০১৬ সালের অগাস্টে মাইক্রোসফট কর্মী হিসেবে যোগ দেন। পরে ২০১৮ সালের জুনে জালিয়াতির অভিযোগে তার চাকরি চলে যায়।
এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে দোষী সাব্যস্ত হন ভলদিমির। তার বিরুদ্ধে দুটি ওয়্যার জালিয়াতি, ছয়টি মানি লন্ডারিং, দুটি পরিচয় জালিয়াতি, দুটি ভুয়া কর জমা, এবং একটি মেইল জালিয়াতি, ডিভাইস প্রবেশাধিকার জালিয়াতি, এবং সুরক্ষিত কম্পিউটারে প্রবেশের অভিযোগ আনা হয়।
“নিয়োগদাতার কাছ থেকে চুরি করাটাই তো খারাপ, সেখানে চুরি করা এবং বিষয়টির দায় সহকর্মীদের উপর চাপানোর হিসেবটি ক্ষতির পরিমাণ এতো বাড়িয়ে তুলেছে যে তা অর্থমূল্যে মাপা সম্ভব নয়।” – বলেছেন মার্কিন আইনজীবি মোরান।
মামলার নথি বলেছে, ভলদিমির মাইক্রোসফটের অনলাইন রিটেইল সেলস প্ল্যাটফর্মের পরীক্ষার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। পরীক্ষার জন্য দেওয়া প্রবেশাধিকারের অপব্যবহার করেছিলেন তিনি। চুরি করেছিলেন ডিজিটাল গিফট কার্ডের মতো “মুদ্রা সঞ্চিত মান”।
পরে তিনি সেগুলো ইন্টারনেটে বিক্রি করে দেন। বিক্রি করে পাওয়া অর্থ থেকে ১৬ লাখ ডলারে বিনিময়ে লেকমুখী বাড়ি এবং এক লাখ ৬০ হাজার ডলারের টেসলা কেনেন ভলদিমির। প্রাথমিকভাবে নিজের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ছোট ছেট ধাপে অর্থ চুরি করেন যা সর্বমোট গিয়ে ১২ হাজার ডলার মূল্যমানে দাঁড়ায়। পর কোটি ডলার চুরির কাজে ব্যবহার করেন অন্যান্য সহকর্মীদের পরীক্ষামূলক ইমেইল অ্যাকাউন্ট।
মামলায় ভলদিমির দাবি করেন, তিনি মাইক্রোসফটের সঙ্গে প্রতারণা করতে চাননি, উল্টো প্রতিষ্ঠান লাভবান হবে এমন বিশেষ প্রকল্প নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করছিলেন।
ক্ষতিপূরণ বাবদ ভলদিমিরকে ৮৩ লাখ ৪৪ হাজার পাঁচশ’ ৮৬ ডলার দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মার্কিন বিচারবিভাগ আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, কারাদণ্ড শেষে তাকে হয়তো নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
মামলাটির তদন্তে কাজ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইন্টারনাল রেভিনিউ সার্ভিস ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন’, ‘ওয়েস্টার্ন সাইবার ক্রাইমস ইউনিট’, এবং ‘ইউএস সিক্রেট সার্ভিস’।