অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, অনেকেই বিশ্বাস করছেন করোনাভাইরাস এবং ৫জি প্রযুক্তির মধ্যে সম্পর্ক আছে। আরও পরিষ্কারভাবে বললে, ৫জি প্রযুক্তি থেকেই করোনাভাইরাসের উৎপত্তি!
Published : 23 Apr 2020, 08:38 PM
এইটুকু হলেও কথা ছিল। এই বিশ্বাস নিয়ে লোকজন যুক্তরাজ্যে অন্তত ৫০টি মোবাইল ফোনের টওয়ারে আগুন দেওয়ারও চেষ্টা করেছে। আর এইসব বিচিত্র ধারণা ছড়াচ্ছে টুইটারের মাধ্যমে। ফলে নীতিমালা পরিবর্তনে বাধ্য হয়েছে টুইটার।
বিবিসি জানিয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ কাঠামো ধ্বংস বা বড় পরিসরে আতঙ্ক সৃষ্টির মতো ঘটনায় সরাসরি যুক্ত ‘যাচাইহীন দাবিগুলোকে’ মুছে ফেলার ঘোষণা দিয়েছে মাইক্রোব্লগিং সাইটটি।
টুইটার আবার এ-ও বলেছে, ৫জি এবং করোনাভাইরাস বিষয়ের ভুয়া তথ্য সরানো হবে না। কিন্তু এই ঘটনাগুলোর সঙ্গে সরাসরি জড়িত প্রচেষ্টাগুলো প্রতিহত করা হবে। অনুমান করা যেতে পারে, শুধু অসত্য তথ্য পার পেয়ে যাবে কিন্তু সেই তথ্য যদি ক্ষতিসাধন করার মতো হয় তবে তা সরিয়ে দেবে প্রতিষ্ঠানটি।
বড় পরিসরে আতঙ্ক ছড়ায় এমন বিষয়গুলোও সরানো হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
নতুন নীতিমালা অমান্য করে এমন দুইটি টুইটের উদহারণ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি--
“করোনাভাইরাস তৈরি হয় ৫জি থেকে! আপনার আশপাশের মোবাইল টাওয়ারগুলো ভেঙ্গে ফেলুন।”
“ন্যাশনাল গার্ড মাত্রই ঘোষণা দিয়েছে যে দুই মাসের মধ্যে আর খাবারের সরবরাহ আসবে না। জলদি মুদি দোকানে যান এবং যা যা পারেন সব কিনে ফেলুন।”
বিজ্ঞানীরা বলছেন, কোভিড-১৯ এবং ৫জি’র সম্পর্কের ধারণাটি “পুরোপুরি নিরর্থক” এবং এটি জৈবিকভাবে অসম্ভব।
এনএইচএস ইংল্যান্ডের মেডিক্যাল পরিচালক স্টিফেন পোইস বলেন, এই ষড়যন্ত্র তত্ত্বগুলো “সবচেয়ে বাজে ধরনের ভুয়া খবর।”