লন্ডন হামলার পর প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর থাকা নীতিমালা কঠোর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে। কিন্তু তার এই পদক্ষেপ কাজ করবে না বলে দাবি উঠেছে।
Published : 05 Jun 2017, 06:00 PM
মে বলেন, প্রযুক্তি জায়ান্টগুলো সন্ত্রাসীদের আদর্শ ছড়াতে ‘নিরাপদ স্থান’-এর ব্যবস্থা করে দিচ্ছে আর এ কারণে এই জায়গাগুলো অবশ্যই বন্ধ করে দিতে হবে। এদিকে টুইটার, ফেইসবুক আর গুগল এ খাতের উন্নয়নে বড় অংকের বিনিয়োগ করছে বলে জানায়, খবর বিবিসি’র।
তবে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের সমালোচনা করেছে একটি ইন্টারনেট অ্যাডভোকেসি গ্রুপ। তাদের দাবি, সামাজিক মাধ্যম কোনো সমস্যা নয়। সেই সঙ্গে মৌলবাদ বিষয়ের এক বিশেষজ্ঞ প্রধানমন্ত্রী মে’র এমন নিন্দাকে ‘মেধাগতভাবে অলস’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটার, বিনামূল্যের ভিডিও স্ট্রিমিং সেবাদাতা সাইট ইউটিউব-এর মালিক ওয়েব জায়ান্ট গুগল আর মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ-এর মালিক প্রতিষ্ঠান সোশাল জায়ান্ট ফেইসবুক ইতোমধ্যেই উগ্রপন্থী কনটেন্ট ঠেকাতে চাপের মুখে আছে। রোববার থেকে এ চাপ আরও বাড়ল।
মে বলেন, “আমরা এই আদর্শকে ছড়ানোর নিরাপদ স্থান দিতে পারি না। তারপরও ইন্টারনেট আর প্রতিষ্ঠানগুলো… ঠিক এটাই করছে।”
অন্যদিকে দেশটির সংস্কৃতি মন্ত্রী ক্যারেন ব্র্যাডলি বলেন, সোশাল মিডিয়াগুলো শিশু পর্নোগ্রাফির বিরুদ্ধে ‘সফলভাবে’ অবস্থান নিয়েছে। তিনি বলেন, “এখন উগ্রবাদ আর মৌলবাদের ক্ষেত্রেও আমাদের একই রকম জবাব দেখা প্রয়োজন। আমরা জানি এটি করা যাবে আর ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠানগুলো এটি করতে চায়।”
যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাম্বার রাড রোববার বলেন, প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর উচিৎ তাদের প্লাটফর্ম থেকে উগ্রপন্থী কনটেন্টগুলো সরিয়ে নেওয়া।