গুগলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিভাগ ডিপমাইন্ড-এর বদৌলতে, প্রতিষ্ঠানটি তাদের ডেটা সেন্টারে শক্তির খরচ ১৫ শতাংশ কমিয়ে এনেছে। এক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে মেশিন-লার্নিং অ্যালগরিদম।
Published : 20 Jul 2016, 10:43 PM
ডেটা সেন্টারে এমন কিছু যন্ত্র ব্যবহার করা হয়, যা দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ডেটা প্রসেস করতে ব্যবহৃত হয়। এ ক্ষেত্রে সার্ভারকে শীতল রাখার প্রয়োজন পড়ে, আর এই কাজে প্রয়োজন পড়ে প্রচুর পরিমাণ শক্তি। কিছু নতুন ডেটা সেন্টার এখন এ কারণে শীতল জলবায়ুর স্থানে তৈরি করা হচ্ছে।
কিছু হিসেব মতে, এই ডেটা সেন্টারগুলো বৈশ্বিক দুই শতাংশ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমণের জন্য দায়ী, জানিয়েছে বিবিসি।
ডিপমাইন্ড-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা মুস্তাফা সুলেইমান বলেন, এর মাধ্যমে "সারাবিশ্বের উপকারে ছোট একটি অবদান রাখতে সক্ষম হচ্ছি।"
ডিপমাইন্ড-এর অ্যালগরিদমটি আটারি গেইম খেলায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের মতো। এর মাধ্যমে সার্ভার শীতল রাখার ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ খরচ কমানো যায়। আর সব মিলিয়ে শক্তি খরচ কমে ১৫ শতাংশ, জানান সুলেইমান।
সুলেইমান বলেন, "এর গুরুত্বপূর্ণ পরিবেশগত প্রভাব রয়েছে।" চলতি বছরের শেষে গুগলের সবগুলো ডেটা সেন্টারে এই পদ্ধতি চালু করা হবে। সামনের ছয় সপ্তাহের মধ্যে ডিপমাইন্ড এই পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত প্রকাশ করবে।
"আমরা ইতোমধ্যে গুগল নয় এমন অংশীদারদের সঙ্গেও এই একই অ্যালগরিদম ব্যবহারের বিষয়ে আলাপ করেছি", বলেন সুলেইমান।
ডেটা সেন্টারগুলোতে শতভাগ পুনঃব্যবহারযোগ্য শক্তি ব্যবহারের প্রতিশ্রুতির কারণে, ২০১৫ সালে গ্রিন এনার্জি রিপোর্টে, প্রচারণা সংস্থা গ্রিনপিস অ্যাপল, গুগল আর ফেইসবুকের প্রশংসা করা হয়।