নানা ধরনের সৃজনশীল পেশার তুলনায় মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কম চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেন জাদুকররা – এমনই উঠে এসেছে নতুন এক গবেষণায়।
যুক্তরাজ্যের ‘অ্যাবেরিস্টউইথ ইউনিভার্সিটি’র গবেষকরা বলছেন, সৃজনশীলতা ও মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে যোগসূত্র থাকার নজির বাড়তে দেখা গেছে।
তবে, কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটিভিত্তিক জার্নাল ‘বিজেসাইক ওপেন’-এ প্রকাশিত নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, জাদুকরদের ক্ষেত্রে বিষয়টি ‘ব্যতিক্রম’।
ওই গবেষণায় ১৯৫ জন জাদুকর ও ২৩৩ জন সাধারণ বলে বিবেচিত মানুষের মনস্তাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য পরীক্ষা করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম স্কাই নিউজ।
পরবর্তীতে ওই ডেটা সৃজনশীল খাতের অন্যান্য পেশাজীবিদের মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে তুলনা করা হয়, যার মধ্যে ছিলেন শিল্পী থেকে শুরু করে সঙ্গীতশিল্পী ও কৌতুকাভিনেতাও।
গবেষণায় দেখা যায়, অন্যান্য সৃজনশীল পেশাজীবির চেয়ে জাদুকরদের ‘হ্যালুসিনেশন’-এর মতো অস্বাভাবিক অভিজ্ঞতার মুখে পড়ার আশঙ্কা কম। আর তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের মিল খুঁজে পাওয়া যায় গণিতবিদ ও বিজ্ঞানীদের সঙ্গে।
অ্যাবেরিস্টউইথ ইউনিভার্সিটি’র মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ড. জিল গ্রিনগ্রস বলেন, ‘সৃজনশীল ব্যক্তিদের মানসিক অসুস্থতা থাকা নিয়ে’ একটি প্রচলিত ধারণা রয়েছে।
“এই প্রথম কোনো গবেষণায় দেখা গেছে, মনস্তাত্বিক বৈশিষ্ট্যের বিষয়টি বিবেচনায় নিলে সাধারণ জনগণের চেয়ে সৃজনশীল ব্যক্তিরা কম নাম্বার পেয়েছেন।” --বলেন তিনি।
“আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে, সৃজনশীল জগতের অন্তত এক শ্রেণির সদস্য অর্থাৎ জাদুকরদের মানসিক অসুস্থতা মাত্রা ছাড়িয়ে যায় না।”
“গবেষণার ফলাফলে আরও উঠে এসেছে, সৃজনশীলতা ও মনোরোগবিদ্যার মধ্যে সম্পর্ক মানুষের পূর্ববর্তী ধারণার চেয়েও জটিল।”