অগাস্টে আদালতের এক যুগান্তকারী রায়ের পরেই এ ঘোষণা দিল মার্কিন বিচার বিভাগ। ওই রায়ে উঠে আসে অবৈধ পন্থার মাধ্যমে অনলাইন সার্চে নিজেদের আধিপত্য বজায় রেখেছে গুগল।
Published : 10 Oct 2024, 04:55 PM
সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট গুগলকে ভাঙতে বলার আদেশ বিবেচনা করছে মার্কিন সরকার। আর এমনটা হলে প্রযুক্তি জায়ান্টদের ব্যবসার ধরেই বদলে যেতে পারে।
ইন্টারনেট সার্চে ‘একচেটিয়া’ অবস্থান ধরে রাখায় গুগলকে বাধা দেওয়া এসব সিদ্ধান্তে ‘ব্যবসা কাঠামো সংস্কারের শর্ত’ থাকতে পারে – বলেছে মার্কিন বিচার বিভাগ।
জবাবে গুগল সতর্ক করেছে, প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলো বিভিন্ন মার্কিন ব্যবসা এবং ভোক্তাদের জন্য অনিবার্য পরিণতি বয়ে আনতে পারে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিবিসি।
অগাস্টে আদালতের এক যুগান্তকারী রায়ের পরেই এ ঘোষণা দিল মার্কিন বিচার বিভাগ। ওই রায়ে উঠে আসে অবৈধ পন্থার মাধ্যমে অনলাইন সার্চে নিজেদের আধিপত্য বজায় রেখেছে গুগল।
“গুগল সার্চ এবং সংশ্লিষ্ট পণ্যে বাড়তি সুবিধা ঠেকাতে ক্রোম, প্লে ও অ্যান্ড্রয়েড-এর মতো সেবা গুগল ব্যবহার করতে পারবে না, এমন ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয় বিবেচনায় আছে।” – আদালতের এক ফাইলিংয়ে বলেছে মার্কিন বিচার বিভাগ।
এদিকে, এসব পরামর্শ দিয়ে সরকার বাড়াবাড়ি করছে বলে এক ব্লগ পোস্টে বলেছেন গুগলের রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট লি-অ্যান মুলহল্যান্ড।
মার্কিন বিচার বিভাগ ২০ নভেম্বরের মধ্যে বিস্তারিত প্রস্তাব জমা দিতে পারে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে বিবিসি।
বিচার বিভাগের প্রস্তাবের বিপক্ষে ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে নিজেদের প্রস্তাবনা জমা দেওয়ার সময় পাবে গুগল।
অগাস্টের রায়টি গুগলের মূল কোম্পানি অ্যালফাবেটের জন্য একটি বড় ধাক্কা।
স্যামসাং, অ্যাপলসহ বিভিন্ন কোম্পানির পণ্যে ‘গুগল সার্চ’কে ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে ব্যবহার করতে এই ওয়েব জায়ান্ট শত শত কোটি ডলার ঢেলেছে, এমন অভিযোগ ওঠার পর ১০ সপ্তাহ ধরে চলা বিচারে এ রায় এসেছিল।
সে সময়, গুগলের পক্ষের আইনজীবীরা যুক্তি দিয়েছিলেন, সার্চ ফিচারকে উপকারি মনে করার কারণেই ব্যবহারকারীরা এ সার্চ ইঞ্জিন বেশি ব্যবহার করেন। পাশাপাশি, ফিচারটি গ্রাহকদের জন্য উপযুক্ত করতে এতে আরও বিনিয়োগ করছে এ প্রযুক্তি জায়ান্ট।
ফেইসবুকের মালিক মেটা প্ল্যাটফর্মস, অ্যামাজন ও অ্যাপলসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি জায়ান্টের বিরুদ্ধে আরও মামলা চলছে যুক্তরাষ্ট্রে, যেখানে তাদের বিরুদ্ধে এ খাতে প্রতিযোগিতা বিরোধী অনুশীলনের অভিযোগ উঠেছে।
মামলাগুলো প্রযুক্তি খাতে প্রতিযোগিতা বাড়ানোয় মার্কিন কর্তৃপক্ষের প্রচেষ্টার অংশ বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিবিসি।