এ নিষেধাজ্ঞা জারি করার আগে গত সপ্তাহে আইফোন বিক্রিও বন্ধ করেছে ইন্দোনেশিয়া, যার আগে সাড়ে নয় কোটি ডলার বিনিয়োগের এক প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হয় অ্যাপল।
Published : 02 Nov 2024, 04:13 PM
স্থানীয় কনটেন্টবিষয়ক শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় এবার গুগল পিক্সেল স্মার্টফোন বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে ইন্দোনেশিয়া। এর কিছুদিন আগেই অ্যাপলের আইফোন ১৬ বিক্রি বন্ধ করেছিল দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম স্মার্টফোনের বাজার হিসেবে পরিচিত দেশটি।
ইন্দোনেশিয়ার শিল্প মন্ত্রণালয় বলেছে, গুগলের ফোন ততদিন পর্যন্ত আমদানি করা যাবে না, যতদিন তারা ইন্দোনেশিয়ায় বিক্রি করা স্মার্টফোনে ৪০ শতাংশ স্থানীয় কনটেন্ট রাখার শর্ত পূরণ না করে।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ফেব্রি হেন্ড্রি অ্যান্টনি আরিফ স্থানীয় সংবাদকর্মীদের বলেছেন, নিজেদের স্মার্টফোন বিক্রি পুনরায় চালু করতে গুগলকে অবশ্যই স্থানীয় কনটেন্ট সার্টিফিকেশন নিতে হবে।
“এ স্থানীয় কনটেন্ট নীতিমালা ইন্দোনেশিয়ায় বিনিয়োগকারীদের ন্যায্যতা, এখানকার শিল্পের ভিত্তি আরও মজবুত করা ও এর মান বাড়ানোর মতো বিষয়গুলোর কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়েছে,” হেন্ড্রি’র উদ্ধৃতি প্রতিবেদনে যোগ করেছে প্রযুক্তি সাইট টেকক্রাঞ্চ।
এ নিষেধাজ্ঞা জারি করার আগে গত সপ্তাহে আইফোন বিক্রিও বন্ধ করেছে ইন্দোনেশিয়া, যার আগে সাড়ে নয় কোটি ডলার বিনিয়োগের এক প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হয় অ্যাপল।
ইন্দোনেশিয়ার কনটেন্ট নীতিমালা পূরণের জন্য বিভিন্ন শীর্ষ স্মার্টফোন নির্মাতা কোম্পানিকে ডিভাইস উৎপাদন, ফার্মওয়্যার বিকাশ বা স্থানীয় উদ্ভাবনের মতো খাতে বিনিয়োগ করতে হয়।
নীতিমালার শর্ত অনুসারে, বিভিন্ন প্রযুক্তি কোম্পানিকে হ্যান্ডসেট এবং ট্যাবলেট সংশ্লিষ্ট কাঁচামালের ৪০ শতাংশই স্থানীয় উৎস থেকে সংগ্রহ করা লাগে, যা পূরণ করতে স্থানীয় উৎপাদন, ফার্মওয়্যার বিকাশ বা কোনো উদ্ভাবনী প্রকল্পে সরাসরি বিনিয়োগ করতে হয়।
কোম্পানিগুলো বেশ কয়েক উপায়ে এইসব শর্ত পূরণ করতে পারে। উদাহরণ হিসেবে, ইন্দোনেশিয়ায় নিজস্ব কারখানা প্রতিষ্ঠা করেছে স্যামসাং ও শাওমি। অন্যদিকে, দেশটিতে বেশ কয়েকটি ডেভেলপার একাডেমি খোলার পরিকল্পনা করেছে অ্যাপল।
বাজার গবেষণা কোম্পানি কাউন্টারপয়েন্টের তথ্য অনুসারে, গুগল বা অ্যাপল কেউই ইন্দোনেশিয়ার শীর্ষ পাঁচটি স্মার্টফোন ব্র্যান্ডের তালিকায় জায়গা পায়নি।