দুর্ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় নিজেদের হাতে থাকা অন্য রকেটগুলোতে সম্ভাব্য ত্রুটি বিচ্যুতি অনুসন্ধান করে দেখার ঘোষণা দিয়েছে ব্লু অরিজিন।
Published : 13 Sep 2022, 09:13 PM
মহাকাশে যাওয়ার পথে যান্ত্রিক ত্রুটিতে পড়েছিল মার্কিন ধনকুবের জেফ বেজোসের কোম্পানির ব্লু অরিজিনের ‘দ্য নিউ শেপার্ড’। কোম্পানির ইতিহাসে উৎক্ষেপণের পর প্রথম দুর্ঘটনা এটি, ধ্বংস হয়েছে রকেটটি।
সোমবার উৎক্ষেপণের মিনিট খানেক পরেই যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয় রকেট বুস্টারে। ২৮ হাজার ফিট উচ্চতায় ঘণ্টায় সাতশ মাইল গতিতে ছুটছিলো রকেটটি। যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ার সঙ্গেই সঙ্গেই মূল রকেট থেকে আলাদা হয়ে যায় মিশনের মূল ক্যাপসুল, প্যারাসুটের মাধ্যমে নিরাপদে নেমে আসে টেক্সাসের মরুভূমিতে।
ওই ক্যাপসুলেই নভোচারীদের বহন করে ব্লু অরিজিন। তবে এবারের মিশনে কোনো নভোচারী ছিলেন না ক্যাপসুলে। ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, নাসার খরচে বিভিন্ন গবেষণা সংস্থার যন্ত্রপাতি ও কার্গো বহন করছিল ক্যাপসুলটি।
কিন্তু, পৃথিবীতে আছড়ে পড়ে ধ্বংস হয়েছে রকেটটি। দুর্ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় নিজেদের হাতে থাকা অন্য রকেটগুলোতে সম্ভাব্য ত্রুটি বিচ্যুতি অনুসন্ধান করে দেখার ঘোষণা দিয়েছে ব্লু অরিজিন।
বিবিসি জানিয়েছে, ব্লু অরিজিন নিউ শেপার্ড রকেট এবং এর ক্যাপসুলের নকশা করেছে এমন ভাবে যেন কোনো ত্রুটি দেখা দিলেই রকেট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নিরাপদে পৃথিবীতে অবতরণ করতে পারে মূল পেলোডবাহী ক্যাপসুলটি।
উৎক্ষেপণের সময় ধারা বর্ণনা করছিলেন ব্লু অরিজিনের জ্যেষ্ঠ পরিচালক এরিকা ওয়্যাগনার; ক্যাপসুল রকেট থেকে আলাদা হওয়ার পরপরই তিনি ঘোষণা করেন, “মনে হচ্ছে আজকের ফ্লাইটে আমরা একটি অসংগতির মুখে পড়েছি। এটি পরিকল্পিত ছিল না এবং আমাদের হাতে এখন বিস্তারিত কোনো তথ্য নেই।”
২০১৫ সালে অভিষেকের পর এটি ছিল ব্লু অরিজিনের ২৩ নম্বর মিশন।
২০২১ সালের জুলাই মাসেই ষোড়শ মিশন থেকে যাত্রীদের বহন করা শুরু করেছে কোম্পানিটি। তবে স্টার ট্রেকখ্যাত অভিনেতা উইলিয়াম শ্যাটনারের উপস্থিতির কারণে আলোচিত হয়েছিল কোম্পানির ১৮তম মিশন।
বিবিসি জানিয়েছে, সোমবারের মিশনে ৩৬টি গবেষণা প্রকল্পের কার্গো বহন করছিল নিউ শেপার্ড রকেট। মহাকাশের ওজনশূন্য পরিস্থিতিতে নানা বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা চালানোর কথা ছিল ক্যাপসুলে থাকা কার্গোর।
সোমবারের দুর্ঘটনা তদন্তের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ)’।
এক বিবৃতিতে এফএএ বলেছে, “নিউ শেপার্ড আবারও উৎক্ষেপণের আগে এফএএ তদন্ত করে দেখবে যে যানটির কোনো যান্ত্রিক ও প্রক্রিয়াগত ত্রুটির কারণে জননিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়ছে কি না। দুর্ঘটনা তদন্তের ক্ষেত্রে প্রচলিত রেওয়াজ এটি।”