চীনা প্রযুক্তি জায়ান্ট বাইটড্যান্সকে নিজেদের জনপ্রিয় স্বল্পদৈর্ঘ্যের ভিডিও অ্যাপ টিকটক ছয় মাসের মধ্যে বিক্রি করে দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রেখে নতুন এক আইন প্রস্তাব করেছেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা।
মঙ্গলবার প্রস্তাবিত এ আইনের অধীনে বাইটড্যান্স টিকটক বিক্রি না করলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে পারে অ্যাপটি, যার কারণ হিসেবে অ্যাপটির চীনা মালিকানা দেশটির জাতীয় নিরাপত্তায় ঝুঁকি হিসেবে বিবেচিত হবে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে রয়টার্স।
গত বছর টিকটকের জোড়াল লবিংয়ের মুখে অ্যাপটি নিষিদ্ধ করার আইন স্থগিত করেছিল মার্কিন কংগ্রেস। এর প্রায় এক বছর পর বাইটড্যান্সকে টিকটক নিষিদ্ধ করার বা বিক্রিতে বাধ্য করার লক্ষ্যে প্রথম বড় আইনি পদক্ষেপ এটি।
প্রস্তাবিত এ আইনটি উত্থাপনের পক্ষে কাজ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ‘হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস’-এর রিপাবলিকান অংশের প্রধান মাইক গ্যালাহার, শীর্ষ ডেমোক্র্যাট নেতা রাজা কৃষ্ণামুর্থি’র পাশাপাশি ডজনখানেকের বেশি আইনপ্রনেতা, যার প্রাথমিক ভোটাভুটি হতে পারে বৃহস্পতিবার।
“টিকটকের জন্য আমার বার্তা হল: চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে ফেলুন, না হলে আপনাদের অ্যাপে আমেরিকান ব্যবহারকারীদের প্রবেশাধিকার বন্ধ হয়ে যাবে,” বলেন গ্যালাহার।
“আমেরিকার সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষের এদেশে একটি প্রভাবশালী মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম নিয়ন্ত্রণের কোন মানেই নেই।”
বিলটি পাশ হলে টিকটক বিক্রির জন্য ১৬৫ দিন সময় পাবে বাইটড্যান্স, না হলে অ্যাপল, গুগল’সহ অন্যান্য অ্যাপ স্টোর ও যারা বাইটড্যান্স নিয়ন্ত্রিত অ্যাপটিতে ওয়েব হোস্টিং সরবরাহ করে থাকে, সেগুলোতে অ্যাপটি রাখা বেআইনি হিসেবে বিবেচিত হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জনপ্রিয় এ অ্যাপটির ব্যবহারকারী সংখ্যা ১৭ কোটির বেশি।
তবে, অ্যাপের একক ব্যবহারকারীদের ওপর কোনও ধরনের আইন প্রয়োগের অনুমতি নেই বিলটিতে।
“এই বিলটি সরাসরি টিকটকে নিষেধাজ্ঞা, সংশ্লিষ্টরা যতই বিষয়টি ঢেকে রাখার চেষ্টা করুন না কেন,” মঙ্গলবার বলেন কোম্পানির এক মুখপাত্র।
“এই আইন ১৭ কোটি মার্কিন নাগরিকের প্রথম সংশোধনীর অধিকার নিয়ে খেলছে। এর মধ্যে ৫০ লাখ ছোট ব্যবসাও রয়েছে, যারা নিজস্ব ব্যবসার উন্নতি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য প্ল্যাটফর্মটির ওপর নির্ভর করে থাকেন।”
অন্যদিকে, হোয়াইট হাউজের ‘ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল’-এর মুখপাত্র বিলটিকে ‘খুবই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি আরও যোগ করেন, আইনটিকে ‘আরও কঠোর করে তুলতে ও এতে সম্ভাব্য সকল আইনি বাধা প্রয়োগে’ কংগ্রেসের সঙ্গে কাজ করবে বাইডেন প্রশাসন।
আরও পড়ুন: