জাল পোস্ট তৈরির ক্ষেত্রে অপরাধীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে স্মার্টফোন, গেইমিং কনসোল, ডিজিটাল ক্যামেরা, হেডফোন, কুকুর, কালেক্টএবলস ও গিটারের মতো পণ্যগুলো।
Published : 03 Apr 2024, 08:02 PM
২০২৩ সালে অনলাইন কেনাকাটায় কেলেঙ্কারির ঘটনা প্রায় এক তৃতীয়াংশ বেড়েছে, এমনই বলছে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকিং কোম্পানি স্যান্টান্ডার।
ব্যাংকটি বলেছে, ২০২৩ সালে মোট কেনাকাটার কেলেঙ্কারির ঘটনার মধ্যে ৮০ শতাংশই শুরু হয়েছিল ‘অনলাইন সেলিং প্ল্যাটফর্ম’ বা মার্কেটপ্লেসে।
অনলাইন কেনাকাটায় কেলেঙ্কারি এড়াতে কোন বিষয়গুলোর দিকে নজর দেওয়া উচিৎ, সে সম্পর্কে ক্রেতাদের সতর্ক করতে ব্রিটেনভিত্তিক অনলাইন বিজ্ঞাপন ও কমিউনিটি ওয়েবসাইট ‘গামট্রি’র সঙ্গে কাজ করছে স্যান্টান্ডার ব্যাংক।
গত বছর পোস্টিং মান ও বিভিন্ন নীতি পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে ১১ লাখ ৭৭ হাজার ২৯২টি পণ্য বিক্রেতার তালিকা মুছে ফেলে গামট্রি।
এর মধ্যে জালিয়াতি সন্দেহে ৪২ হাজার ৭২৫টি বিজ্ঞাপন মুছে ফেলা হয়, ফলে গামট্রি’র বার্ষিক আয় ৩১ শতাংশ কমে গেলেও কোম্পানিটি বলেছে, একটি উন্নত নিরাপত্তা পরিকাঠামোর জন্য ধন্যবাদ, এটি কেলেঙ্কারির লক্ষ্যে করা বিভিন্ন তালিকা প্রথম সারিতে পোস্ট করা ঠেকিয়েছে।
গামট্রি’র তথ্য অনুসারে, জাল পোস্ট তৈরির ক্ষেত্রে অপরাধীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে স্মার্টফোন, গেইমিং কনসোল, ডিজিটাল ক্যামেরা, হেডফোন, কুকুর, কালেক্টএবলস ও গিটারের মতো পণ্যগুলো।
“আমাদের সাইটে জালিয়াতির পোস্ট ঠেকাতে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় আমরা প্রযুক্তির ওপর ব্যাপক বিনিয়োগ করেছি। এর ফলে, আমাদের সন্দেহভাজনের তালিকাও প্রতি মাসে ছোট হয়ে আসছে,” বলেছেন গামট্রি’র নিরাপত্তা প্রধান জোসেফ রিন্ডসল্যান্ড।
“তবে স্ক্যামাররা নাছোড়বান্দা এবং আমরা এখনও ২০২৩ সালের কয়েক হাজার পোস্ট সরিয়ে দিয়েছি।”
এদিকে, স্যান্টান্ডার-এর জালিয়াতি ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান ক্রিস আইন্সলে বলেছেন, “আগের চেয়ে অনেক বেশি স্ক্যামার এখন আমাদের দর কষাকষির প্রবণতার সুযোগ নিচ্ছে।”
অনলাইন কেনাকাটায় কেলেঙ্কারি এড়াতে ক্রেতাদের জন্য কয়েকটি টিপস দিয়েছে স্যান্টান্ডার ও গামট্রি —
● কোনও পণ্যের দাম প্রত্যাশিত দামের চেয়ে সস্তা হলে বা এতে অনলাইন সার্চে খুঁজে পাওয়া গতানুগতিক ছবি ব্যবহার করা হলে তা জালিয়াতির লক্ষণ হতে পারে।
● বিভিন্ন বিক্রয়যোগ্য পণ্য প্রায়শই পোস্টকোড ও অবস্থানের ওপর নির্ভর করে ফিল্টার করা যেতে পারে। স্থানীয়ভাবে কেনাকাটা করুন ও নিশ্চিত করুন যে, আপনি সরাসরি পণ্যটি দেখতে পাচ্ছেন।
● যেখানেই সম্ভব, নিরাপদ পেমেন্ট পদ্ধতি ব্যবহার করুন। এক্ষেত্রে, আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে বেশি সুরক্ষা মিলতে পারে পেপ্যাল ও ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে।
● অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের বাইরে যে কোনো ধরনের যোগাযোগ প্রচেষ্টাকে সন্দেহ নিয়ে বিবেচনা করা উচিৎ ক্রেতাদের।
● পণ্য কেনার আগে অনলাইন পণ্য বিক্রেতা কতদিন ধরে ওয়েবসাইটের সদস্য ছিলেন তা যাচাই করুন। পাশাপাশি অন্যান্য ক্রেতার রিভিউ ও বিক্রেতার প্রোফাইল দেখুন। যদি বিক্রেতা অল্প সময়ের মধ্যে একাধিক জায়গা থেকে পোস্ট করে থাকেন, তবে তা ক্রেতাদের সতর্ক হওয়ার আরেকটি কারণ হতে পারে।