ভূমিকম্প হলে সেতুর সম্ভাব্য ক্ষতির ঝুঁকি মূল্যায়নের জন্য কয়েক হাজার সিমুলেশন চালানোর প্রয়োজন পড়ে, যা একইসঙ্গে সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল।
Published : 12 Sep 2024, 06:39 PM
ভূমিকম্পের সময় বিভিন্ন সেতুর নিরাপত্তা বা সুরক্ষা ব্যবস্থা মূল্যায়নের জন্য দ্রুত এবং আরও কার্যকর উপায় তৈরির দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা।
সম্প্রতি এই যুগান্তকারী পদ্ধতিটি উদ্ভাবন করেছেন ‘ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটি’র গবেষকরা।
এ নতুন পদ্ধতিটি কোন কোন সেতু অরক্ষিত বা ঝুঁকিপূর্ণ তা চিহ্নিত করে কর্তৃপক্ষকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য আরও ভালভাবে প্রস্তুত করতে সহায়তা করবে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিজ্ঞানভিত্তিক প্রকাশনা নোরিজ।
এ গবেষণাটি প্রকাশ পেয়েছে ‘আর্থকোয়েক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড স্ট্রাকচারাল ডায়নামিক্সস’-এ। এতে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকায় জরুরি পরিকল্পনা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে সহায়ক হবে ‘সিজমিক ফ্রাগিলিটি মডেল বা ভূমিকম্পের ভঙ্গুরতা’ নামের গুরুত্বপূর্ণ এ টুলটি।
প্রচলিতভাবে ভূমিকম্প হলে সেতুর সম্ভাব্য ক্ষতির ঝুঁকি মূল্যায়নের জন্য কয়েক হাজার সিমুলেশন চালানোর প্রয়োজন পড়ে, যা একইসঙ্গে সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল।
‘ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটি’র সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ইয়াঝো শির নেতৃত্বে এ গবেষণা দলটির তৈরি এ টুলের মাধ্যমে পরিসংখ্যানগত কৌশল ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মিশ্রণ ঘটিয়ে প্রয়োজনীয় সিমুলেশনের সংখ্যা কমিয়ে কেবল ৭০ এ আনা হয়েছে।
বিভিন্ন ধরনের সেতু ভূমিকম্পের ঝুঁকি দ্রুত ও সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে এই স্মার্ট পদ্ধতিটি গবেষকদের সাহায্য করবে। এমনকি নতুন সেতুর নকশা চালু করা হলে মডেলটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপডেট হবে, যা সেতুর বিভিন্ন সুরক্ষা মূল্যায়নের বিষয়টি বর্তমান ও প্রাসঙ্গিক থাকে তা নিশ্চিত করবে।
এ নতুন পদ্ধতির মূল সুবিধাগুলোর মধ্যে একটি হল– সেতুর ঝুঁকি মানচিত্র তৈরি করে এমন সিস্টেমের মধ্যে একে সমন্বিত করা যেতে পারে।
আর এসব মানচিত্র ভূমিকম্পের সময় জরুরি পরিস্থিতিতে উদ্ধারকারীদের নিরাপদ রাস্তার পরিকল্পনা করতে সহায়তা করবে। একইসঙ্গে কোন সেতুর কাঠামোকে শক্তিশালী বা আপগ্রেড করা দরকার তার ওপর গুরুত্ব দিতে কর্তৃপক্ষকে সহায়তাও করবে এটি।
বেশি ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর উপর নজর দেওয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন শহর নিজেদের অবস্থার উন্নতি করার পাশাপাশি বাসিন্দাদের জন্য আরও ভাল সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারবে বলে দাবি গবেষকদের।
“ভূমিকম্পের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় সেতুর অবকাঠামো রক্ষায় এই গবেষণা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। নীতিনির্ধারকদের জরুরি বিভিন্ন ট্র্যাফিক রুট বা পথ শনাক্ত করতে ও ভবিষ্যতে ভূমিকম্পের মতো ঘটনার জন্য আরও কার্যকরভাবে পরিকল্পনা করতে সহায়তা করবে এটি,” বলেন শি।