বাংলাদেশি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের পরিচিতি তুলে ধরলেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা।
Published : 21 Apr 2025, 11:26 PM
দেশের সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের পরিচিতি তুলে ধরলেন চীনে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা।
পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে শনিবার নানচিং শহরে আয়োজিত এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ধ্বনিত হলো বাংলার গান, নৃত্য ও কবিতা; সুগন্ধ ছড়াল দেশীয় খাবার আর হৃদয় ছুঁয়ে গেল আন্তঃসাংস্কৃতিক বন্ধনের বার্তা।
‘বাংলাদেশ কমিউনিটি নানচিং’-এর আয়োজনে এবং নানচিং কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন সেন্টারে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানটি পরিণত হয় বৈচিত্র্যময় মিলনমেলায়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ, চীন ছাড়াও ভারত, মিয়ানমার, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও ভিয়েতনামের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ফাহমিদা গয়না ও লাভলি আক্তার। স্বাগত বক্তব্য দেন আহনাফ তাহমিদ আনন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন নানচিং কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান সমন্বয়ক রঙ জু রেন, ম্যানেজার ওয়াং জু রেন, এবং চিয়াংশু ট্রেড প্রমোশন অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি লি চিয়াং।
অনুষ্ঠানের পরিবেশনায় উঠে আসে বাংলাদেশের সংস্কৃতির রূপ—বাংলা ও চীনা ভাষায় সঙ্গীত পরিবেশনা, ঐতিহ্যবাহী নৃত্য, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা পাঠ এবং দুই দেশের সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন নিয়ে এক ব্যঙ্গাত্মক নাট্যাংশ।
অতিথিরা বলেন, “এ ধরনের উদ্যোগ চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বন্ধনকে আরও দৃঢ় করবে এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে সম্প্রীতির সেতুবন্ধ গড়ে তুলবে।”
চীনা অতিথিরাও বাংলাদেশি সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে আরও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত অতিথিদের জন্য পরিবেশিত হয় বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন আহনাফ তাহমিদ আনন, আসিক আল সাদি, মোহাম্মদ শামীম, আবিদা রাইসা, আবীদ মো. রাজীব ও রাকিবুল ইসলাম।