গত বছর ইউরোপীয় ইউনিয়নের আওতাধীন ব্যবহারকারীদের প্রাইভেসি নীতি লঙ্ঘনের অভিযোগে চ্যাটজিপিটিকে নিষিদ্ধ করেছিল সংস্থাটি।
Published : 30 Jan 2024, 03:41 PM
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাচালিত চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা নীতি লঙ্ঘন করেছ — এমন অভিযোগ এনেছে ইতালির ডেটা সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ।
‘ইটালিয়ান ডেটা প্রোটেকশন অথরিটি’ বা তথ্য-সুরক্ষা নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ চ্যাটজিপিটির উদ্ভাবক কোম্পানি ওপেনএআইকে এ বিষয়ে জানিয়েছে।
সংস্থাটি আরও বলেছে, গত বছর চ্যাটজিপিটির বিরুদ্ধে শুরু করা তদন্তকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার সময় এসেছে।
‘গারান্তে’ নামে পরিচিত দেশটির ডেটা সুরক্ষা সংস্থা ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ)’র অন্যতম সক্রিয় সংস্থাও, যারা ডেটা সুরক্ষা নীতির আওতায় বিভিন্ন এআই কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে থাকে।
গত বছর ইউরোপীয় ইউনিয়নের আওতাধীন ব্যবহারকারীদের প্রাইভেসি নীতি লঙ্ঘনের অভিযোগে চ্যাটজিপিটিকে নিষিদ্ধ করেছিল সংস্থাটি।
সে সময় ব্যবহারকারীদের অ্যালগরিদম প্রশিক্ষণে ব্যক্তিগত ডেটা ব্যবহারের অনুমতি দিতে অস্বীকৃতি জানায় ওপেনএআই। তবে, ওই যাত্রায় পার পেয়ে যাওয়ায় চ্যাটজিপিটি পরিষেবাটি পরবর্তীতে আবার চালু করেছিল ইইউ।
তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি বলেছিল, তারা চ্যাটজিপিটির বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে যাবে। পরবর্তীতে কোনো বিস্তারিত তথ্য না দিয়েই সংস্থাটি এ উপসংহারে পৌঁছায় যে, চ্যাটজিপিটিতে সম্ভাব্য ডেটা প্রাইভেসি লঙ্ঘনের মতো এক বা এর চেয়েও বেশি উপাদান রয়েছে।
এদিকে, ইতালির প্রাইভেসি নীতিমালা সম্পর্কে রয়টার্স ওপেনএআইয়ের মন্তব্য জানতে চাইলেও তাৎক্ষণিক সাড়া মেলেনি।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘গারান্তে’ বলেছে, মাইক্রোসফট সমর্থিত ওপেনএআই তাদের যুক্তি উপস্থাপনের জন্য ৩০ দিন সময় পাবে। আর এ তদন্তে জাতীয় প্রাইভেসি নিয়ন্ত্রকদের সমন্বয়ে গঠিত একটি ইউরোপীয় টাস্কফোর্সের কাজও বিবেচনায় আনা হবে।
পশ্চিম ইউরোপে ইতালিই প্রথম দেশ, যেখানে চ্যাটজিপিটির দ্রুত বিকাশের বিষয়টি নজরে এসেছিল দেশটির আইন প্রণেতা ও নিয়ন্ত্রকদের।
২০১৮ সালে ইউরোপে চালু হওয়া ‘জেনারেল ডেটা প্রোটেকশন রেগুলেশন (জিডিপিআর)’ নীতিমালা অনুসারে, কোনো কোম্পানি নীতিমালা লঙ্ঘন করলে তাদের বৈশ্বিক আয়ের চার শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
অন্যদিকে, গত বছরের ডিসেম্বরে চ্যাটজিপিটির মতো এআই নিয়ন্ত্রণে অস্থায়ী শর্ত জুড়ে দিতে সম্মত হয়েছিলেন ইইউ’র বিভিন্ন আইন প্রণেতা ও সরকার প্রধানরা, যা উদীয়মান এ প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা চালু করার বিষয়টিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়েছে।