“একটি বিসিএসের রেজাল্ট একবার হয়। কিন্তু তারা দুই বার দিল কোন যুক্তিতে, বলেন এক শিক্ষার্থী।
Published : 24 Apr 2025, 09:18 PM
সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সংস্কারসহ তিন দাবিতে ‘আমরণ অনশনে’ বসেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাজু ভাস্কর্যের সামনে তারা অনশন শুরু করেন।
অনশনে বসেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী শাহ আলম স্নেহ, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের আব্দুল করিম এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মো. সিরাজুস সালেহীন (সিয়ন)।
তাদের অন্য দুই দাবি হল ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা দ্রুত শেষ করা ও ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানো।
শাহ আলম বলেন, আমাদের প্রধান দাবির অন্যতম হল পিএসসির সংস্কার। সবাই জানি ৪৬তম বিসিএসের প্রশ্নফাঁস হয়েছে। প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত সবাই বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলগুলোতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। সুতরাং এ স্বীকৃত ঘটনার পরেও পিএসসি প্রথম ধাপে ১১ হাজার এবং পরবর্তী ধাপে ১১ হাজার শিক্ষার্থীকে উত্তীর্ণ করেছে।
“একটি বিসিএসের রেজাল্ট একবার হয়। কিন্তু তারা দুই বার দিল কোন যুক্তিতে। এখন তারা আবার বলে প্রশ্নফাঁস হয়নি। যদি না হয়ে থাকে তাহলে তারা দ্বিতীয়বার রেজাল্ট প্রকাশ করল কেন?”
প্রশ্নফাঁসে জড়িতদের বিচার দাবি করে তিনি বলেন, “আমরা চাই একটি ফ্রেশ টেবিলে বসে বিসিএস পরীক্ষা দিতে এবং ভবিষ্যতে যেন আর এরকম জটিলতা সৃষ্টি না হয়।”
অনশনে বসা আব্দুল করিম বলেন, “আমরা পিএসসির সংস্কার চাই। আর প্রশ্নফাঁসের পরেও কেন ৪৬তম বিসিএস এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তার জবাব চাই। আমরা চাই কোনো সংশয় না রেখে স্বচ্ছতা দেখানো হোক।”