চলতি বছরের গত ২০ মে তারিকুজ্জামান চার বছরের জন্য বিএসইসির কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন।
Published : 11 Sep 2024, 09:19 PM
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, বিএসইসি থেকে বাদ পড়ছেন কমিশনার ড. এ টি এম তারিকুজ্জামান।
তারিকুজ্জামানকে নিয়ে শিবলী কমিশনের সঙ্গে কাজ করা তিন কমিশনারই বাদ পড়বেন; অবশিষ্ট থাকবেন একজন।
বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উপসচিব ফরিদা ইয়াসমিনের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, “রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কমিশনার ড. এ টি এম তারিকুজ্জামানের সাথে সম্পাদিত চুক্তির ৮ নং শর্তানুযায়ী তাকে তার পদ থেকে অব্যাহতি প্রদানের জন্য ৩ মাসের নোটিস প্রদান করা হলো।
“আগামী ১০ ডিসেম্বরের পর থেকে তিনি বিএসইসির কমিশনার পদে বহাল থাকবেন না।”
চার কমিশনার ও চেয়ারম্যান নিয়ে বিএসইসি কমিশন গঠিত হয়। নীতিনির্ধারণী যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে কমিশনের বৈঠক করে নেয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা আছে।
চলতি বছরের গত ২০ মে তারিকুজ্জামান চার বছরের জন্য বিএসইসির কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন।
শিক্ষা জীবন শেষে ১৯৯৭ সালে বিএসইসিতে উপ-পরিচালক হিসেবে যোগ দেন তারিকুজ্জামান। নির্বাহী পরিচালক পদ পর্যন্ত পদোন্নতি পেয়ে ২০২৩ সালের অগাস্টে চাকরি ছেড়ে দেয়ার শর্তে তারিকুজ্জামানকে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন কমিশনের আগের চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম।
দেশের বড় পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ, ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে আট মাস চাকরি করে তারিকুজ্জামান বিএসইসিতে ফেরেন চলতি বছরের গত মে মাসে।
নোটিস পাওয়ার মেয়াদ পর্যন্ত চাকরি করলে বিএসইসিতে কমিশনার হিসেবে তার সময় কাটবে ৯ মাস।
বুধবারই এ সংক্রান্ত চিঠি বিএসইসির সব কমিশনার, তারিকুজ্জমান ও হিসাব মহা নিরিক্ষকসহ সংশ্লিষ্টদের বরাবর পাঠানো হয়।
চাকরির শর্ত অনুযায়ী, তারিকুজ্জামান চাইলে আগামী ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে কমিশন তার পোর্টফলিও বদলে দিতে পারে।
চিঠি পাওয়ার বিষয়ে বিএসইসি মুখপাত্র ও পরিচালক ফারহানা ফারুকী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বুধবার বিকেল পর্যন্ত কমিশনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি।”
গত ৫ অগাস্ট ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পতন হলে আর্থিক খাতেও তার প্রভাব পড়ে।
অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে ১০ অগাস্ট রাতে পদত্যাগ করেন শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
এর দুই দিন পরে কমিশনার পদ থেকে পদত্যাগ করেন শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ। তাকে আগের সরকার প্রথম দফায় ২০২০ সালের মে মাসে চার বছরের জন্য নিয়োগ দিয়েছিল। দ্বিতীয় মেয়াদে আবারো ৪ বছরের নিয়োগ দেয়া হয় গত জুন মাসে।
একইদিনে পদত্যাগ করেন অপর কমিশনার অধ্যাপক রুমানা ইসলাম, যিনি প্রথম নারী কমিশনার হিসেবে বিএসইসিতে যোগ দিয়েছিলেন ২০২২ সালের মে মাসে।