১০ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ সূচক ও লেনদেন দেখল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ।
Published : 02 Dec 2024, 06:44 PM
টানা দুই দিন মূল্যসূচক হারানোর পর ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ফিরেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক। লেনদেনও বেড়ে ৫০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে, যা ১০ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ।
সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন সোমবার দেশের প্রধান এ পুঁজিবাজারে আগের দিনের তুলনায় সূচক বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট; লেনদেন বেড়েছে ১০২ কোটি টাকা।
দিন শেষে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২০১ পয়েন্টে; আর লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৫০০ কোটি ২৩ লাখ। ডিএসইর এ সূচক ও লেনদেন গত ১০ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এদিন লেনদেন হওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির শেয়ারের মধ্যে দর বেড়েছে ২৩৮টির, কমেছে ৯৮টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৬১টি কোম্পানির শেয়ারদর।
আগের দিন ওঠা-নামার মধ্যে দিয়ে লেনদেন সম্পন্ন হলেও সোমবার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বাজার ছিল ঊর্ধ্বমুখী। এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা ছিল ব্যাংক, বীমা ও বস্ত্র খাতের কোম্পানির। এদিন ব্যাংক খাতের প্রায় অর্ধেক কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে, যা সূচক বাড়াতে বড় ভূমিকা রেখেছে। অপরিবর্তিত ছিল ৩০ শতাংশ ব্যাংকের শেয়ার দর।
গত ১০ কার্যদিবস ধরে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার নিচে ছিল। বেশির ভাগ সময় তা ছিল সাড়ে তিনশ কোটি টাকার ঘরে। সবশেষ ৫০০ কোটি টাকার বেশি শেয়ার হাতবদল হয় গত ১৯ নভেম্বর।
সূচকের সঙ্গে লেনদেন বেড়ে যাওয়ায় ডিএসইতে বাজার মূলধন একদিনে ফিরেছে ৩ হাজার ১৪৯ কোটি টাকার বেশি, যা আগের দুই দিনে হারানো মূলধনের প্রায় কাছাকাছি। আগের দুই দিনে সূচকের সঙ্গে বাজার মূলধন কমেছিল ৩ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা।
লেনদেনের তথ্য অনুযায়ী, সর্বোচ্চ ৮০ কোটি ৪০ লাখ টাকা লেনদেন করে ব্যাংক খাতের কোম্পানিগুলো। একক খাত হিসেবে যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৬ দশমিক ১৫ শতাংশ।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ার লেনদেন হয় ৬৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকার বা ১৪ শতাংশ। পরের স্থানে থাকা বস্ত্র খাতের শেয়ার হাতবদল হয় ৬০ কোটি ৭৫ লাখ টাকার।
দিন শেষে ক্লোজিং প্রাইস বিবেচনায় ডিএসইতে শীর্ষ দর বৃদ্ধি কোম্পানির তালিকায় উঠে আসে বস্ত্র খাতের সিএনএ টেক্সটাইল। এরপর ছিল প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, সিনোবাংলা, ড্রাগন সোয়েটার ও এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ।
অন্যাদিকে সবচেয়ে বেশি দর হারায় শ্যামপুর সুগার মিল। এ তালিকায় পরে রয়েছে ফারইস্ট ফাইন্যান্স, নিউ লাইন ক্লোথিংস, লিব্রা ইনফিউশনস ও মুন্নু এগ্রো অ্যান্ড জেনারেল মেশিনারি।