কাতার বিশ্বকাপ ফাইনালে হার তাকে বর্ষসেরা লড়াইয়েও পিছিয়ে দিয়েছে, মানছেন ফরাসি ফরোয়ার্ড।
Published : 18 Nov 2023, 04:36 PM
কাতার বিশ্বকাপের শিরোপা লড়াইয়ে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনাকে জোর প্রতিদ্বন্দ্বিতা জানালেও শেষ পর্যন্ত খালি হাতেই ফিরতে হয় কিলিয়ান এমবাপে ও তার দল ফ্রান্সকে। ওই আসরে দুজনই ছিলেন তাদের সেরা ছন্দে। তবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কারণে মেসিই যে ব্যালন দ’র জিতবেন, ফাইনালের পরই নিশ্চিত হয়ে যান এমবাপে।
ফরাসি ফরোয়ার্ড বলেছেন, বিশ্বকাপ হারানোর পর যে ব্যালন দ’রও যে তিনি জিততে পারবেন না, এই ব্যাপারে তার কোনো সন্দেহ ছিল না।
গত অক্টোবরে এমবাপে ও আর্লিং হলান্ডকে পেছনে ফেলে রেকর্ড অষ্টমবারের মত ব্যালন দ’র খেতাব জেতেন মেসি। ম্যানচেস্টার সিটি স্ট্রাইকার হন দ্বিতীয়, আর এমবাপে হন তৃতীয়।
মেসিই যে আবার ব্যালন দ’র জিতবেন, সেটা এমবাপের মতো অনেকেই একরকম নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলেন গত ডিসেম্বরেই। আসরে ৭ গোল করে আর্জেন্টিনাকে তৃতীয় বিশ্বকাপ এনে দেন ৩৬ বছর বয়সী এই ফুটবলার, দ্বিতীয়বারের মতো জেতেন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার ‘গোল্ডেন বল।’
ফাইনালে হ্যাটট্রিকসহ ৮ গোল করা এমবাপে পান সর্বোচ্চ গোলস্কোরারের পুরস্কার ‘গোল্ডেন বুট।’
গত মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪৩ ম্যাচে ৪১ গোল করেন এমবাপে, পিএসজিতে মেসির সঙ্গে জেতেন লিগ আঁ-এর শিরোপাও। তবে বিশ্বকাপই যে ব্যালন দ’রের লড়াইয়ে মূল পার্থক্য গড়ে দিয়েছে, তা বুঝতে পারছেন ২৪ বছর বয়সী এমবাপে।
ইউরো ২০২৪-এর বাছাইয়ে শনিবার রাতে জিব্রাল্টারের বিপক্ষে ম্যাচের আগে এমবাপে তুলে ধরেন ব্যালন দ’র নিয়ে তার অবস্থানে। তার সহজ স্বীকারোক্তি, একমাত্র মেসিই খেতাবটি জেতার যোগ্য ছিলেন।
“এটা মেসিরই জেতার ছিল। তিনি বিশ্বকাপ জিতেছেন, আমার চোখে যদি সর্বকালের না-ও হন, তিনি ইতিহাসের সেরাদের একজন। (আর্লিং) হলান্ডের জন্য মৌসুমটা দুর্দান্ত ছিল, আমারও। কিন্তু বিশ্বকাপ জেতার ওজনের কাছে এগুলো তেমন কিছু নয়। ১৮ ডিসেম্বর (বিশ্বকাপ ফাইনাল) রাতেই আমি জানতাম যে, বিশ্বকাপ হারানোর পর আমাকে ব্যালন দ’রও হারাতে হবে। লিওর (মেসি) এটা প্রাপ্য ছিল।”
ব্যালন দ’রের বিবেচিত সময়টা দুর্দান্ত কাটে হলান্ডেরও। সবশেষ মৌসুমে ম্যানচেস্টার সিটির ঐতিহাসিক ট্রেবল জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন নরওয়ের এই তারকা। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে গোল করেন ৩৬টি, যা ৩৮ ম্যাচের এই লিগে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার পথে ১১ ম্যাচে জালের দেখা পান ১২ বার। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে মৌসুমে ক্লাবের হয়ে তার গোল ছিল ৫২টি।