উরুগুয়ের বিপক্ষে প্রতিশোধ নিয়ে ভাবছে না ঘানা

উরুগুয়ে-ঘানা ম্যাচের আগে ফিরে আসছে ২০১০ বিশ্বকাপে লুইস সুয়ারসের সেই হ্যান্ডবলের ঘটনা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Nov 2022, 03:00 AM
Updated : 29 Nov 2022, 03:00 AM

বিশ্বকাপে আবারও যখন মুখোমুখি ঘানা ও উরুগুয়ে, অবধারিতভাবে চলে আসছে লুইস সুয়ারেসের নাম। ১২ বছর আগের বিশ্বকাপে উরুগুয়ের এই স্ট্রাইকারের ইচ্ছাকৃত হ্যান্ডবলে সেমি-ফাইনালে খেলার স্বপ্ন ভেঙেছিল ঘানার। আফ্রিকার দলটির কোচ অটো আডো অবশ্য অতীত নিয়ে পরে থাকতে চান না। জানিয়ে দিলেন, আসছে ম্যাচে প্রতিশোধের কোনো ভাবনা তাদের নেই। 

২০১০ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার-ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল উরুগুয়ে ও ঘানা। নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলে সমতা থাকার পর ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে। সেখানে একদম শেষ মুহূর্তে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল ঘানা। 

দলটির একটি আক্রমণ প্রতিহত করতে পোস্ট ছেড়ে সামনে এগিয়ে যান উরুগুয়ের গোলরক্ষক। বক্সের ভেতর জটলার মধ্যে থেকে নেওয়া ঘানার এক খেলোয়াড়ের শট গোললাইন থেকে ক্লিয়ার করেন সুয়ারেস। এরপর দ্বিতীয় দফায় আরেকটি হেড প্রায় জালে জড়াতে যাচ্ছিল, কিন্তু একদম শেষ মুহূর্তে গোলরক্ষকের মতো করে হাত দিয়ে বল ফিরিয়ে দেন সুয়ারেস। লাল কার্ড দেখানো হয় তাকে এবং ঘানাকে দেওয়া হয় পেনাল্টি। তবে স্পট-কিকে তারা গোল করতে ব্যর্থ হয়, বল লাগে ক্রসবারে। 

লাল কার্ড দেখায় মাঠ ছাড়ার কথা থাকলেও তা না করে এক কোণ থেকে ঘানার পেনাল্টি মিস দেখে বুনো উল্লাসে মেতে ওঠেন সুয়ারেস। এরপর টাইব্রেকারে ঘানার হ্দয় ভেঙে ৪-২ গোলে জিতে সেমি-ফাইনালে জায়গা করে নেয় উরুগুয়ে। 

আন্তর্জাতিক ফুটবলে এখনও পর্যন্ত ওই একবারই দেখা হয়েছে ঘানা ও উরুগুয়ের। দীর্ঘদিন পর আগামী বুধবার আবারও বিশ্বকাপেই মুখোমুখি হচ্ছে দল দুটি, এবার গ্রুপ পর্বের ম্যাচে।   

দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে শিবিরে এবারও আছেন ৩৫ বছর বয়সী সুয়ারেস। গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে সোমবার দক্ষিণ কোরিয়াকে ঘানা ৩-১ গোলে হারানোর পরপরই তাই আলোচনায় চলে এলো এক যুগ আগের সেই ম্যাচের প্রসঙ্গ। 

সংবাদ সম্মেলনে এই ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে ঘানা কোচ আডো বলেন, অনেক বছর কেটে যাওয়ায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা তার কাছে অর্থহীন। এবার জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী তিনি।   

“এটি (উরুগুয়ে ম্যাচ) খুব কঠিন হবে। তবে আমি নিশ্চিত, আমরা এই ম্যাচ জিততে পারব। প্রতিশোধ নিয়ে খুব বেশি ভাবার লোক আমি নই।” 

“সত্যিই অনেক দিন আগে ঘটেছিল ঘটনাটি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, যদি এই ধরনের ব্যাপারগুলি নিয়ে খুব বেশি প্রতিশোধের চিন্তা না করেন, তাহলে কখনও কখনও তা আশীর্বাদ হয়ে আসবে।”