‘নয়ার-গিনদোয়ানের সমালোচনা জাগিয়ে তুলবে জার্মানিকে’

সতীর্থদের মন্তব্যে খারাপ লাগছে না, বললেন জার্মান ফরোয়ার্ড কাই হাভার্টজ।

জার্মানির বিশ্বকাপ অভিযানের শুরুতেই লেগেছে জোর ধাক্কা। শক্তিতে পিছিয়ে থাকা জাপানের বিপক্ষে হেরে এখন তাদের পরের ধাপে যাওয়া নিয়েই জেগেছে শঙ্কা। এশিয়ার দেশটির বিপক্ষে দলের পারফরম্যান্সের সমালোচনা করেছেন অধিনায়ক মানুয়েল নয়ার ও মিডফিল্ডার ইলকাই গিনদোয়ান। ফরোয়ার্ড কাই হাভার্টজ মনে করছেন, এটাই তাদের তাতিয়ে দেবে পরের ম্যাচে।

‘ই’ গ্রুপে নিজের প্রথম ম্যাচে জাপানের কাছে ২-১ গোলে হেরে যায় জার্মানি। শেষ ষোলোতে যেতে স্পেনের বিপক্ষে ম্যাচটি তাদের জন্য ‘বাঁচা-মরার।’ আল বাইত স্টেডিয়ামে রোববার বাংলাদেশ সময় রান ১টায় মাঠে গড়াবে সাবেক দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের লড়াই।

জাপানের বিপক্ষে বিশ্বকাপে প্রথমবার খেলতে নেমে হারের তেতো স্বাদ পেতে হয়েছে চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে। ওই ম্যাচে গিনদোয়ানের সফল স্পট-কিকে শুরুতে প্রত্যাশিতভাবেই এগিয়ে যায় জার্মানরা। ৭৪ মিনিট পর্যন্ত ১-০ ব্যবধান ধরে রাখে তারা।

কিন্তু পরের মিনিটেই রিতসু দোয়ান জাপানকে সমতায় ফেরান। সে ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই আরেকটি গোল খেয়ে বসে জার্মানি। ৮৩ মিনিটে তাদের জালে বল পাঠান তাকুমা আসানো। এই দুইজনই জার্মানির বুন্ডেসলিগার খেলোয়াড়।

বিশ্বকাপে এনিয়ে তিনবার নিজেদের প্রথম ম্যাচে হেরেছে জার্মানি। টানা দ্বিতীয়বার গ্রুপ পর্বেই তাদের পথচলা শেষ হওয়ার শঙ্কা জাগছে এতে। ম্যাচের পর দলের বাজে পারফরম্যান্সকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান নয়ার। গিনদোয়ান বলেন, আসানোর গোলটি ছিল বিশ্বকাপের সবচেয়ে সহজ গোলগুলোর একটি।

অন্য দিকে নিজেদের প্রথম ম্যাচে কোস্টা রিকাকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে স্পেন। তরুণ ও অভিজ্ঞতার মিশেলে গড়া ২০১০ সালের চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে মাঠে নামার আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে হাভার্টজ বলেন, সতীর্থদের মন্তব্যে খারাপ লাগছে না তাদের। তার বিশ্বাস, এতে জেগে উঠবে পুরো দল।

“ইলকাই ও মানু (নয়ার) গঠনমূলক সমালোচনা করেছে। ছেলেদের অবস্থা আমি বুঝতে পারছি। আমরা এটা নিয়ে কথা বলেছি। এমন সমালোচনা দলের জন্য ভালো, কারণ আমরা উন্নতি করতে থাকি…কেউই ক্ষুব্ধ নয়।”

“নেতিবাচক কথাবার্তা অনেক ভক্তদের কাছ থেকে আসে। আমাদের দিকে অনেকে আঙুল তুলেছে, কিন্তু আমি চিন্তিত নই। অতীতে কী হয়েছিল এটা নিয়ে ভাবি না। রোববার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। এখন নেতিবাচক চিন্তা করে লাভ নেই। আমরা সামনের দিকে তাকিয়ে আছি।”