Published : 19 Aug 2023, 06:31 PM
ব্যস্ত সূচি সামনে রেখে আগের পরিকল্পনা অনুযায়ী রোববার শুরু হচ্ছে জাতীয় দলের ক্যাম্প। ক্যাম্পের জন্য ৩২ জনের দল ঘোষণা করেছেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। অবশ্য আপাতত সবাইকে পাচ্ছেন না তিনি।
আর্জেন্টিনার ক্লাব সোল দে মাইয়োতে যোগ দেওয়া জামাল ভূঁইয়া এবং আবাহনী ও বসুন্ধরা কিংসের অধিকাংশ খেলোয়াড়দের ছাড়াই শুরু হচ্ছে প্রস্তুতি।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৪ ও ৭ সেপ্টেম্বরের দুটি প্রীতি ম্যাচ সামনে রেখে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) শনিবার ক্যাম্পের দল ঘোষণা করেন কাবরেরা। দলে একেবারে নতুন মুখ শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের ফরোয়ার্ড দীপক রায় ও উত্তরা এফসির ফরোয়ার্ড সারোয়ার জামান নিপু।
গত ১৫ অগাস্ট এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ খেলা কিংসের খেলোয়াড়রা যোগ দিবেন ২৫ অগাস্ট। আর আগামী ২২ অগাস্ট এএফসি কাপে মোহন বাগানের বিপক্ষে আবাহনীর ম্যাচ থাকায় তাদের খেলোয়াড়রা ক্যাম্পে যোগ দিবেন ২৭ অগাস্ট। এএফসি কাপের দলে না থাকা আবাহনীর বাকি খেলোয়াড়রা অবশ্য প্রস্তুতি শুরু করবেন রোববার থেকেই।
অনেক লুকোচুরির পর শুক্রবার আর্জেন্টিনার ক্লাব সোশাল অ্যান্ড দেপোর্তিভো সোল দে মাইয়োর সঙ্গে চুক্তির আনুষ্ঠানিকতা সেরেছেন জামাল। ক্যাম্পের শুরুতে অধিনায়ককে তাই পাচ্ছেন না কাবরেরা। প্রস্তুতির শেষাংশে জামালকে পাওয়ার জন্য সোল দে মাইয়োর সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানালেন তিনি।
“আমরা বিশ্বাস করি, এটা ভালো খবর। জামাল আর্জেন্টিনার ফুটবলের অভিজ্ঞতা নিতে পারবে, এটা তার জন্য, বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য এবং সবার জন্য ভালো বিষয়। এই দেশে যে মেধাবী ফুটবলার আছে, যারা দেশের বাইরে খেলার সামর্থ্য রাখে সেটা দেখানোর সুযোগ পেয়েছে সে। এজন্য তার পাশে আমাদের থাকতে হবে।”
“যখন ক্লাব তাকে ছাড়বে, সে দলের সঙ্গে যোগ দিবে। ক্লাবের সে অধিকার আছে, এটা আমাদের শ্রদ্ধা করতে হবে। যখন সে অ্যাভেলেবেইল থাকবে, তখন তাকে আমরা স্বাগত জানাব। আশা করি, প্রথম ম্যাচের আগে শেষ সপ্তাহের পুরোটা সে দলের সঙ্গে অনুশীলন করবে। যদিও এটি এখনও নিশ্চিত নয়, বিষয়টি নিয়ে তার ক্লাবের সঙ্গে আলোচনা চলছে, এখন পর্যন্ত সব আলোচনায় ইতিবাচক; নেতিবাচক কিছু নেই।”
এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মিরালেম পিয়ানিচ, পাকো আলকাসেরের মতো ইউরোপে আলো ছড়ানোদের বিপক্ষে খেলার সুযোগ হয়েছে কিংসের জিকো-রাকিবদের। এই অভিজ্ঞতাও বাংলাদেশ দলের সামনের পথচলায় কাজে লাগবে বলে বিশ্বাস কাবরেরার।
“অবশ্যই এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে। বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলছে, এটা দেখাও দারুণ বিষয়। এটা এই দেশের ফুটবলের লেভেলকে সামনের দিকে নিয়ে যাবে। স্থানীয় এবং জাতীয় দলের খেলোয়াড় যারা এই মানের (পিয়ানিচ, আলকাসের) খেলোয়াড়দের বিপক্ষে খেলেছে, তাদের অবস্থানটাও জানা যাবে।”
আফগানিস্তান ম্যাচের পর এশিয়ান গেমসের মিশনে নামবেন কাবরেরা। এরপর অক্টোবরে মালদ্বীপের বিপক্ষে রয়েছে ২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাইয়ের ম্যাচ। গত সাফে আলো ঝলমলে পারফরম্যান্সে সেমি-ফাইনাল খেলে আসার সুরটা টেনে নিতে চান কাবরেরা।
“সেপ্টেম্বরের ফিফা উইন্ডো এবং সামনে যে ব্যস্ত সূচি, আমাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ। শুরুতেই প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান, এরপর এশিয়ান গেমস আছে। এরপর রয়েছে মালদ্বীপের বিপক্ষে আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিশ্বকাপ বাছাই। আগামীকাল থেকে এই খেলোয়াড়দের নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করব। এশিয়ান গেমসের দলের কিছু খেলোয়াড়ও এখানে আছে, এখন সামনের দিকে তাকিয়ে আছি। সাফে যে পারফরম্যান্স করেছি, সেটা ধরে রাখতে হবে আমাদের।”
“আমাদের মূল লক্ষ্য মালদ্বীপের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ। নিশ্চিতভাবেই আমাদের লক্ষ্য জেতা। সাফে যে পারফরম করছি, তার নিচের মানের হলে চলবে না, তার চেয়ে ভালো করতে হবে। আমাদের মূল লক্ষ্য বাছাইয়ের ম্যাচে জিতে কোয়ালিফাই করা।”
ক্যাম্পের দল: আনিসুর রহমান জিকো, শহীদুল আলম সোহেল, মিতুল মারমা, পাপ্পু হোসেন, বিশ্বনাথ ঘোষ, তপু বর্মন, কাজী তারিক রায়হান, রিমন হোসেন, সাদউদ্দিন, রহমত মিয়া, আলমগীর মোল্লা, মুরাদ হাসান, মেহেদী হাসান, ইসা ফয়সাল, মোহাম্মদ আতিকুজ্জামান, সোহেল রানা, শেখ মোরসালিন, মোহাম্মদ হৃদয়, সোহেল রানা, আবু সাঈদ, মজিবুর রহমান জনি, রবিউল হাসান, জামাল ভূঁইয়া, রাকিব হোসেন, মতিন মিয়া, সুমন রেজা, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, দীপক রায়, আমিনুর রহমান সজীব, সারোয়ার জামান নিপু, জাফর ইকবাল ও মোহাম্মদ ইব্রাহিম।