জার্মানির পত্রিকা বিল্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লিওনেল মেসির সঙ্গে নিজের সম্পর্ক নিয়ে বললেন বার্সেলোনা অধিনায়ক মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন।
Published : 09 Apr 2025, 05:31 PM
সাত বছর ছিলেন একই দলে। ভালো মুহূর্ত যেমন অনেক এসেছে, খারাপ মুহূর্তও কম নয়। জার্মানির পত্রিকা বিল্ডের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে পেছন ফিরে তাকালেন মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন। বার্সেলোনা অধিনায়ক বললেন, দলটির ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড় লিওনেল মেসির সঙ্গে নিজের সম্পর্ক নিয়ে।
২০১৪ সালে ২২ বছর বয়সে বার্সেলোনায় যোগ দেন টের স্টেগেন। সে সময় পোস্টে দলটির প্রথম পছন্দ ছিল অভিজ্ঞ ক্লাওদিও ব্রাভো। বেশি খেলার সুযোগ না পেয়ে কাতালান ক্লাবটি ছেড়ে ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দিতে চেয়েছিলেন টের স্টেগেন।
তরুণ জার্মান গোলরক্ষককে কোনোভাবেই ছাড়তে চাননি সেই সময়ের বার্সেলোনা কোচ লুইস এনরিকে। সিটি কোচ পেপ গুয়ার্দিওলার সঙ্গে সাক্ষাতের পরও ইংলিশ ক্লাবটিতে যাওয়া হয়নি টের স্টেগেনের। ২০১৬ সালে চিলির গোলরক্ষক ব্রাভোকেই ইতিহাদ স্টেডিয়ামে নিয়ে যান গুয়ার্দিওলা।
সেই থেকে বার্সেলোনার প্রথম পছন্দের গোলরক্ষক টের স্টেগেন। গত মৌসুম শেষে সের্হি রবের্তো ক্লাব ছাড়ার পর তিনিই এখন কাতালান ক্লাবটির অধিনায়ক। হাঁটুতে অস্ত্রোপচারের পর ছয় মাস বাইরে থেকে এখন ধীরে ধীরে অনুশীলন শুরু করেছেন। তৈরি হচ্ছেন ক্লাবের হয়ে মাঠে নামতে।
আরও বেশি খেলার সুযোগের জন্য ক্লাব ছাড়তে চাইলেও শেষ পর্যন্ত ছাড়া হয়নি টের স্টেগেনের। অন্য দিকে থাকার ইচ্ছে থাকলেও বার্সেলোনার বাজে অর্থনৈতিক পরিস্থিতির জন্য থাকতে পারেননি আর্জেন্টাইন জাদুকর মেসি।
সাক্ষাৎকারে টের স্টেগেনকে প্রশ্ন করা হয়, মেসির সঙ্গে তার সেরা স্মৃতি কোনটা? উত্তরে তিনি বলেন, “সেটা ভালো পরিস্থিতির নাকি খারাপ পরিস্থিতির? আমাদের দুটিই আছে।”
“লিও বিশেষ এক চরিত্র, তিনি এই পর্যায়ে আছেন কারণ, আমি মনে করি তিনি এমন কিছু থেকে অনুপ্রেরণা নেন যা আমরা দেখি না। আমাদের এমন মুহূর্ত ছিল যখন আমাদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল কারণ তিনি আমার উপর অসন্তুষ্ট ছিলেন, আমিও তার উপর অসন্তুষ্ট ছিলাম।”
“আমার মনে হয়, লিও সম্ভবত একমাত্র খেলোয়াড়, যিনি চাইলে শট আপনার মুখে মারতে পারে। অন্যরা হয়তো যেকোনো জায়গায় মারতে পারে। তবে লক্ষ্যে শট রাখতে পারার সামর্থ্য তার আছে।”
এই অভিজ্ঞতা সত্যি সত্যিই হয়েছিল টের স্টেগেনের।
“কয়েকবার (হাসি)। তবে রেগে গিয়ে নয়… তার এই সামর্থ্য আছে যে, তিনি কাউকে বোকা বানাতে চাইলে তিনি সেটা একটা পাস বা শট দিয়ে খুব সহজেই তা করতে পারেন। এটা দেখে আপনার মনে হবে, এটা অসম্ভব। এই অভিজ্ঞতা আমার আগেও হয়েছে, আর এ কারণে আমি কৃতজ্ঞ যে, ম্যাচে সব সময় তাকে আমার দলে পেয়েছি, প্রতিপক্ষ দলে নয়।”
শেষ পর্যন্ত বরফ গলেছিল কি না সেটাও জানিয়েছেন ৩২ বছর বয়সী গোলরক্ষক।
“আমাদের মধ্যে কখনও তর্ক হয়নি যে আপনি বলতে পারবেন, আমাদের মধ্যে বনিবনা নেই। তবে আমাদের মধ্যে বাজে কিছু মুহূর্ত ছিল, এটা ঠিক আছে। আমরা একটা লকার রুমে দীর্ঘ সময় ছিলাম।”
“আর এটা অবশ্যই তাকে দলে পাওয়া এবং তিনি কীভাবে নেতৃত্ব দেন, তা দেখাটা কৌতুহল জাগানিয়া। এটা আমাদের স্টাইল হোক বা না হোক, দেখার জন্য আকর্ষণীয়। লিও প্রচুর কথা বলেন না। তিনি উপস্থিতি দিয়ে কাজ সারেন এবং সত্যিই তার বেশি বলার প্রয়োজন হয় না। তবে যখন তিনি কিছু বলেন, সবাই শোনে। একজন অধিনায়ক হিসেবে আপনি এটাই অর্জন করতে চাইবেন, যখন আপনি বলবেন, তখন সবাই শুনবে এবং আপনাকে অনুসরণ করবে।”