জাতীয় অ্যাথলেটিকসের প্রথম দিনে অ্যাথলেটদের হাতে থাকা মশাল থেকে আগুন খসে পড়া, ইভেন্ট দেরিতে হওয়ার মতো অনেক অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটেছে।
Published : 09 Feb 2024, 06:43 PM
জাতীয় অ্যাথলেটিকসের ১০০ মিটার স্প্রিন্টে যা একটু লড়াই হলো মেয়েদের বিভাগে। তবে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর শিরিন আক্তার মুকুট ঠিকই ধরে রাখলেন। অন্যদিকে যথারীতি দ্রুততম মানব হলেন লন্ডন প্রবাসী বাংলাদেশি অ্যাথলেট ইমরানুর রহমান।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুক্রবার ছেলেদের বিভাগে ১০ দশমিক ৩৬ সেকেন্ড সময় নিয়ে সেরা হন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইমরানুর। এ ইভেন্টে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মোহাম্মদ ইসমাইল ১০ দশমিক ৬৭ সেকেন্ড সময় নিয়ে দ্বিতীয় এবং একই দলের রাকিবুল হাসান তৃতীয় হন ১০ দশমিক ৭২ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করে।
মেয়েদের বিভাগে শিরিনকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছিলেন তার নৌবাহিনী দলের সতীর্থ সুমাইয়া দেওয়ান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১২ দশমিক ১১ সেকেন্ড টাইমিং করে শিরিন সেরা এবং ১২ দশমকি ২৯ সেকেন্ড নিয়ে সুমাইয়া দ্বিতীয় হয়েছেন। যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সামিয়া আক্তার সাথী হয়েছেন তৃতীয়; তার টাইমিং ১৪ দশমিক ০১ সেকেন্ড।
জাতীয় অ্যাথলেটিকসে সব মিলিয়ে চারবার সেরার মুকুট জিতলেন ইমরানুর। তবে তিনি পারেননি ব্যক্তিগত সেরা টাইমিং পেছনে ফেলতে। গত বছর জুলাইয়ের ব্যাংককে হওয়া এশিয়ান অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপের ১০০ মিটারের সেমি-ফাইনালে ওঠার পথে ১০ দশমিক ২৫ সেকেন্ড টাইমিং করেছিলেন ইমরানুর।
গত সামার অ্যাথলেটিকসেই ১১ দশমিক ৯৫ সেকেন্ড সময় নিয়ে রেকর্ড গড়েছিলেন শিরিন এ নিয়ে ১৫ বার দ্রুততম মানবী হলেন তিনি।
মেয়েদের ৫ হাজার মিটারে রেকর্ড গড়ে সেরা হয়েছেন নৌবাহিনীর শাসসুন্নাহার রত্না; তিনি সময় নেন ১৮ মিনিট ৪৯.৩৮ সেকেন্ড। এ ইভেন্টে আগের রেকর্ডটি ছিল নৌবাহিনীরই রিংকি বিশ্বাস (১৯ মিনিট ৪১.৪০ সেকেন্ড) গড়েছিলেন ২০২২ সালে।
শটপুট মহিলা ইভেন্টে রেকর্ড গড়েন নৌবাহিনীর জাকিয়া আক্তার (১৩.৫২ মিটার)। এই ইভেন্টে ১৯৯২ সালে নেলী জেসমিন রেকর্ড গড়েছিলেন ১২ দশমিক ১৪ মিটার অতিক্রম করে।
ইমরানুর-শিরিনদের সাফল্যের দিনে জাতীয় অ্যাথলেটিকসে দেখা গেল নানা অব্যবস্থাপনা। ১০০ মিটার ইভেন্ট শুরু হওয়ার কথা ছিল পৌনে চারটা ও চারটায়। কিন্তু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের লম্বা বক্তৃতার পর ইভেন্ট শুরু হয় প্রায় এক ঘণ্টা পর!
মশাল প্রজ্জ্বলনের সময় ঘটতে পারত বড় কোনো দুর্ঘটনা। সাবেক দ্রুততম মানবী নাজমুন নাহার বিউটি ও পোল ভোল্টার শরীফুল ইসলাম নতুন করে নির্মিত ট্র্যাকের উপর দিয়ে দৌড়াচ্ছিলেন। এমন সময় মশাল থেকে আগুন চলে আসে হাতলের দিকে। পরে আগুনের কুণ্ডুলি পড়ে টার্ফের উপরই! দ্রুতই একজন পা দিয়ে মাঠে ঠেলে দেন আগুনের কুন্ডলিসহ মশালটি। কয়েকজন মিলে পা দিয়ে মাড়িয়ে, পরে পানি এনে নেভানো হয় আগুন!