এশিয়ান কাপ বাছাই
সাধারণ জীবন যাপন করা হামজা চৌধুরীকে এই অল্প সময়ে দলের সবাই আপন করে নিয়েছেন বলে জানালেন মিডফিল্ডার মোহাম্মদ হৃদয়।
Published : 22 Mar 2025, 11:06 PM
দায়িত্বশীল, অতি সাধারণ, সবাইকে সম্মান করার মানসিকতা সম্পন্ন মানুষ- ইংল্যান্ডে খেলা হামজা চৌধুরী মাঠে ও মাঠের বাইরে কেমন, তা এই বিশেষণগুলো দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন জাতীয় দলের সহকারী কোচ হাসান আল মামুন ও মিডফিল্ডার মোহাম্মদ হৃদয়।
ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচ খেলতে শিলংয়ে আসা বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে হামজা সবচেয়ে ‘নামী এবং দামি।’ ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ড ইউনাইটেডে খেলছেন, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দল লেস্টার সিটির হয়ে খেলেছেন, জিতেছেন এফএ কাপ। সব মিলিয়ে হামজার অভিজ্ঞতা ও অর্জনের ধারেকাছে নেই দলের কেউ।
হামজার সাথে মানিয়ে নেওয়া নিয়ে একটু-আধটু শঙ্কার আনাগোনা তাই হৃদয়-মিতুলদের মনের একটু হলেও দিয়েছিল। কিন্তু ইলিংশ প্রবাসী ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার তা দূর করে দিয়েছে অল্প সময়ের মধ্যেই।
মানুষের সাথে মেশার, মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মানসিকতা হামজার আজকের নয়। এর আগে প্রচারের আলোয় আসেনি এই যা। হবিগঞ্জের গ্রামে এতিম শিশুদের মাদ্রাসা চালান হামজা। বাংলাদেশের হয়ে খেলতে আসার পর তার গ্রামের বাড়িতে মানুষের ভীড়, ভক্তদের নানা চাওয়া পূরণ, অসহায় মানুষদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়গুলো এবার প্রকাশ্যে এসেছে। হৃদয় জানালেন, ক্যাম্পেও হামজা একইরকম, সাধাসিধে।
“আসলে উনাকে নিয়ে যদি বলতে চাই, যদি উনাকে আমাকে ভোট দিতে বলা হয়, তাহলে আমি তাকে ১০০ তে ১০০-ই দেব। কেননা, আমাদের আর উনার লেভেলে অনেক পার্থক্য। শুধু আমি না, এটা আপনারা সবাই জানেন। প্রতিটি মুহূর্তে অনেক কিছু শেখার আছে, আসলে উনার চলাচল খুব সাধারণ, আমরা মানিয়ে নেওয়ার জন্য… এটা খুব উপভোগ করছি।”
সহকারী কোচ মামুনের চোখে হামজা সবদিক থেকেই দায়িত্ববোধসম্পন্ন একজন মানুষ। যার মধ্যে কোনো অহমের বালাই নেই।
“ও (হামজা) দলের সঙ্গে মিশে গেছে। দেশ ও দলের জন্য ওর নিজের দায়িত্ববোধ আছে। প্রথম দিন থেকেই সে কোচিং স্টাফ ও সতীর্থদের সঙ্গে উজ্জীবিত। নিজে থেকেই সবাইকে সম্মান করছে, কথা বলছে।”
হামজার এই মিশে যাওয়ার মানসিকতা থাকায় তার সাথে মানিয়ে নিতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না বলে জানালেন হৃদয়। ভারতের বিপক্ষে হামজার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মাঝমাঠে লড়াইয়ের আত্মবিশ্বাস তাই অনুভব করতে পারছেন এই মিডফিল্ডার।
“হামজা ভাইয়ের যে বিষয়টা, উনি অনেক উপরের লেভেলে ফুটবল খেলছেন, আমরা সবাই চেষ্টা করছি, উনার সাথে মানিয়ে নেওয়ার। সবসময় ইতিবাচকভাবে আমরা সবাই সবার সাথে কথা বলছি। যেভাবে আমরা মাঠে ফুটবল খেলতে পারলে ইতিবাচক ফল হবে, সেটা নিয়েই কথা বলছি।”
“হামজা ভাইকে সবসময় জিজ্ঞেস করছি, কি করলে ভালো হয়, কোনটা আমাদের জন্য সেরা, যেহেতু একই সাথে মিডফিল্ড পজিশনে আমরা খেলছি, সবকিছু ইতিবাচক আছে।”