বাংলাদেশ ফুটবল
ভুটানের বিপক্ষে প্রথম প্রীতি ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেওয়া গোলটি সতীর্থদের উৎসর্গ করেছেন এই তরুণ ফরোয়ার্ড।
Published : 05 Sep 2024, 09:32 PM
জাতীয় দলের জার্সি গায়ে তুলেছেন এক বছরের একটু বেশি সময়, এরই মধ্যে আক্রমণভাগে নিজের সামর্থ্য মেলে ধরেছেন শেখ মোরসালিন। ভুটানের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচেও সুযোগসন্ধানী শটে করেছেন গোল। ওই গোলে সওয়ার হয়ে বাংলাদেশও পেয়েছে স্বস্তির জয়। স্বাভাবিকভাবেই দারুণ উচ্ছ্বসিত এই তরুণ ফরোয়ার্ড।
থিম্পুর চ্যাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার প্রথম ম্যাচে স্বাগতিকদের ১-০ গোলে হারায় বাংলাদেশ। ম্যাচের নির্ণায়ক গোলটি ষষ্ঠ মিনিটে করেন মোরসালিন।
গত বছর জুনের শেষ দিকে কম্বোডিয়ার বিপক্ষে জাতীয় দলের হয়ে অভিষেকের পর এ নিয়ে পাঁচ গোল করলেন মোরসালিন। এর মধ্যে দুটি গত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে, একটি আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে এবং চতুর্থটি তিনি করেছিলেন বিশ্বকাপ বাছাইয়ে লেবাননের বিপক্ষে বাংলাদেশের ১-১ ড্র ম্যাচে।
এ নিয়ে ভুটানের জালে দ্বিতীয়বার গোল করলেন মোরসালিন। আগেরটি পেয়েছিলেন বেঙ্গালুরুর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে, বাংলাদেশের ৩-১ ব্যবধানে জেতা ম্যাচে। ওই ম্যাচে পিছিয়ে পড়া দলকে সমতার স্বস্তি এনে দিয়েছিলেন মোরসালিন; এবার তিনি জয়ের নায়ক।
যদিও ম্যাচে বাংলাদেশের সাদামাটা, ধীরলয়ের খেলা নিয়ে একটু-আধটু সমালোচনা চলছে। তবে ম্যাচ শেষের প্রতিক্রিয়ায় মোরসালিন সমালোচনা কানে তুলতে চাইলেন না। কোচের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারার তৃপ্তি বরং ১৯ বছর বয়সী ফরোয়ার্ডের কণ্ঠে।
“আমরা খুবই ভালো খেলেছি…কোচ আমাদের যেভাবে যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন, সেভাবে আসলে মাঠে বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। এ কারণে আমরা ম্যাচটা জিতেছি। আমাদের লক্ষ্য ছিল ম্যাচ বাই ম্যাচ চিন্তা করা। প্রথম ম্যাচটা ভালোভাবে পার করেছি।”
“এখন আমাদের টার্গেট থাকবে পরের ম্যাচে কোচের পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করা, কোচের পরিকল্পনা অনুযায়ী যদি কাজ করতে পারি, তাহলে দ্বিতীয় ম্যাচের ফলও ইনশাল্লাহ ভালো হবে।”
মোরসালিনের গোলের উৎস রাকিব হোসেনের বাড়ানো ক্রস। অবশ্য বল প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক হয়ে এসেছিল তার কাছে। সুযোগসন্ধানী টোকায় তিনি সারেন বাকি কাজটুকু। জয়সূচক গোলটি মোরসালিন উৎসর্গ করলেন সতীর্থদের।
“আলহামদুলিল্লাহ, গোল করতে পেরে খুবই খুশি। আসলে একা তো সম্ভব না (গোল করা)…গোলটা আমি উৎসর্গ করতে চাই আমার সতীর্থদের সবাইকে। অ্যাসিস্ট করা রাকিব ভাইকে, উনিই পাসটা দিয়েছিলেন, অবশ্য গোলকিপার হয়ে বলটা আমার কাছে এসেছিল, আমি করেছি। আমি খুশি।”