প্রতিপক্ষের মাঠে বুধবার পাঁচ গোলের রোমাঞ্চকর ম্যাচটি ৩-২ ব্যবধানে জিতেছে মাস্সিমিলিয়ানো আল্লেগ্রির দল।
আসরে পঞ্চম ম্যাচে এসে অবশেষে জয়ের স্বাদ পেল তুরিনের ক্লাবটি। প্রথম চার ম্যাচের দুটিতে তারা হেরেছিল, অপর দুটি ড্র।
গত মৌসুমে লিগে দুবারের দেখায় দলটির জালে সাতবার বল পাঠিয়েছিল ইউভেন্তুস। অ্যাওয়ে ম্যাচে ৪-১ গোলে ও নিজেদের মাঠে ৩-০ গোলে জিতেছিল তারা। এবার জয় পেতে তাদের বেশ ভুগতে হলো।
জয়ের খোঁজে ইউভেন্তুস শুরুটা করে আত্মবিশ্বাসী। সপ্তম মিনিটে মোইজে কিনের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। শুরুর একাদশে ফেরা ইতালিয়ান এই ফরোয়ার্ডই ২৮তম মিনিটে এগিয়ে নেন দলকে। আদ্রিওঁ রাবিওর হেড পাসে ডি-বক্সের সামনে একজনের বাধা এড়িয়ে নিচু শটে গোলটি করেন তিনি।
সফরকারীদের এগিয়ে যাওয়ার আনন্দ অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। পাঁচ মিনিট পরই সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা। ডি-বক্সে জায়গা বানিয়ে দুই খেলোয়াড়ের মাঝ দিয়ে শটে ঠিকানা খুঁজে নেন এমানুয়েল জিয়াসি।
বিরতির আগে আবার এগিয়ে যেতে পারত ইউভেন্তুস। ডি-বক্সের বাইরে থেকে পাওলো দিবালার শটে এক হাতে বল ক্রসবারের ওপর দিয়ে পাঠান স্পেৎসিয়ার গোলরক্ষক।
উল্টো দ্বিতীয়ার্ধের চতুর্থ মিনিটে এগিয়ে যায় স্পেৎসিয়া। সতীর্থের পাস ধরে ডি-বক্সে ঢুকে একজনকে কাটিয়ে গোলটি করেন আঁতিস্তে।
৬৫তম মিনিটে আবার বিপদে পড়তে বসেছিল ইউভেন্তুস। আঁতিস্তের প্রচেষ্টা গোললাইন থেকে ফেরান মানুয়েল লোকাতেল্লি। পরের মিনিটেই সমতা ফেরান ফেদেরিকো চিয়েসা। ডি-বক্সে জটলার মধ্যে বল পেয়ে দারুণভাবে একটু সামনে এগিয়ে নেন তিনি, এরপর পরাস্ত করেন গোলরক্ষককে।
পাঁচ ম্যাচে একটি জয় ও দুটি ড্রয়ে ৫ পয়েন্ট নিয়ে ১২তম স্থানে আছে ইউভেন্তুস। ৪ পয়েন্ট নিয়ে ১৬তম স্থানে স্পেৎসিয়া।
সমান ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন ইন্টার মিলান। একটি করে ম্যাচ কম খেলে ১২ পয়েন্ট নিয়ে নাপোলি দুইয়ে ও ১০ পয়েন্ট নিয়ে এসি মিলান তিনে আছে। চারে থাকা আতালান্তারও ১০ পয়েন্ট, পাঁচ ম্যাচে।