ফরাসি ফুটবল
পিএসজির কয়েকটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার কথা বলেছেন কিলিয়ান এমবাপের আইনজীবীরা।
Published : 10 Apr 2025, 09:52 PM
তিক্ততায় শেষ হওয়া সম্পর্কের হিসেব এখনও পুরোপুরি চুকে যায়নি। বকেয়া বেতনের পাঁচ কোটি ৫০ লাখ ইউরোর দাবিতে পিএসজির বিরুদ্ধে ফরাসি ক্রীড়া মন্ত্রী ও উয়েফার কাছে আবেদন করেছেন কিলিয়ান এমবাপের আইনজীবীরা।
তারা দাবি করেছেন, বৃহস্পতিবার পিএসজির কয়েকটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
ফরাসি তারকা এমবাপের আইনজীবী দেলফিন ফাহাইডেন এক সংবাদ সম্মেলনে পিএসজির বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধে’ নামার কথা বলেন।
গত বছর ফরাসি লিগ (এলএফপি) খেলোয়াড়ের সব অর্থ পরিশোধের নির্দেশ দেয় পিএসজিকে। তবে ফরাসি ফুটবল ফেডারেশন এক আদেশে বলে, এমবাপের অনুরোধ অগ্রহণযোগ্য, কারণ এই বিষয়ে একটি মামলা দেওয়ানি আদালতে চলমান।
এমবাপের আইনজীবীরা প্যারিসের একটি আদালতের মাধ্যমে পিএসজির ব্যাংক হিসাব থেকে ৫ কোটি ৫০ লাখ ইউরো অবরুদ্ধ করার দাবি করেছেন।
“আমরা সুরক্ষাস্বরূপ আজ সকালে পিএসজির ব্যাংক হিসাব, সংখ্যার হিসেবে ৫ কোটি ৫০ লাখ ইউরো অবরুদ্ধ করেছি।”
এই বিষয়ে এমবাপের সাবেক ক্লাব পিএসজির কোনো মন্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে পায়নি রয়টার্স। তবে গত অক্টোবরে ক্লাবটি বলেছিল, তারা এই মামলা ‘উপযুক্ত আদালতে নিতে বাধ্য করবে।’ একই সঙ্গে এমবাপের সঙ্গে একটি ‘শান্তিপূর্ণ সমাধানে’ পৌঁছানোর চেষ্টা করবে।
মোনাকো থেকে পিএসজিতে যোগ দিয়ে সাত বছর খেলেন এমবাপে। হয়ে ওঠেন ক্লাবটির ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা। ২৬ বছর বয়সী তারকা ফরোয়ার্ড গত বছর ফ্রি এজেন্ট হিসেবে যোগ দেন রেয়াল মাদ্রিদে।
পিএসজির দাবি, সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে এলএফপির মধ্যস্থতার দেওয়া একটি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন এমবাপে।
এমবাপের আরেক আইনজীবী পিয়ের-ওলিভিয়ে বলেন, তারা হয়রানির অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেন, চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার এক বছর আগে, ২০২৩ সালে মেয়াদ বাড়ানোর জন্য এমবাপেকে চাপ দিয়েছিল পিএসজি।
লিগ আঁ চ্যাম্পিয়নদের দাবি, এমবাপের চুক্তি ‘আইনীভাবে সংশোধন’ করা হয়েছিল এবং প্রতিশ্রুতি ভেঙে প্যারিসের ক্লাব ছেড়ে তিনি রেয়াল মাদ্রিদে যোগ দেন।
এই বিষয়ে ইউরোপীয় ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থা- উয়েফার একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেন, বকেয়া পারিশ্রমিকের দিক থেকে এই ঘটনায় তারা কেবল পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত।
“চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ফরাসি কর্তৃপক্ষ এবং এটা নিশ্চিত যে, সত্যিই বকেয়া আছে… এরপর ক্লাবের যথা সময়ে সেই বকেয়া পরিশোধ করতে হবে, অন্যথায় ফিনান্সিয়াল ফেয়ার প্লে (আইন) ভাঙার ঝুঁকিতে পড়বে।”