চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বের প্লে-অফে জায়গা করে নিল ম্যানচেস্টার সিটি।
Published : 30 Jan 2025, 04:02 AM
টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে জয়ের বিকল্প নেই- এমন বাঁচামরার লড়াইয়ে প্রথমার্ধে বিবর্ণ ফুটবলে গোল খেয়ে বিদায়ের শঙ্কায় পড়ে যায় ম্যানচেস্টার সিটি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াল তারা। ক্লাব ব্রুজকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বের প্লে-অফে জায়গা করে নিল পেপ গুয়ার্দিওলার দল।
ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে প্রথম পর্বের শেষ রাউন্ডে ৩-১ গোলে জিতেছে ইংলিশ চ্যাম্পিয়নরা।
একই সময়ে আরেক ম্যাচে উসমান দেম্বেলের হ্যাটট্রিকে স্টুটগার্টকে ৪-১ ব্যবধানে হারিয়ে প্লে-অফে উঠেছে পিএসজিও।
নতুন আঙ্গিকে ৩৬ দলের আসরে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ আট দল সরাসরি জায়গা করে নিয়েছে শেষ ষোলোয়। নবম থেকে ২৪তম স্থানে থাকা দলগুলো দুই লেগের প্লে-অফ খেলবে শেষ ষোলোর বাকি আট দলের মধ্যে জায়গা করে নিতে।
ভীষণ বাজে সময়ের মধ্য দিয়ে যাওয়া সিটি শেষ রাউন্ড শুরু করেছিল ২৫তম স্থানে থেকে। ম্যাচের একটা পর্যায়ে তারা নেমে যায় ২৬তম স্থানে। শেষ পর্যন্ত আট ম্যাচে তিন জয় ও ২ ড্রয়ে ১১ পয়েন্ট নিয়ে ২২তম হয়ে প্রথম পর্ব শেষ করল তারা। তাদের সমান পয়েন্ট নিয়ে ২৪তম হয়ে প্লে-অফে উঠেছে ক্লাব ব্রুজও।
২২তম স্থানে থেকে শেষ রাউন্ডে নামা পিএসজি চার জয় ও এক ড্রয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে ১৫তম স্থানে আছে। ১০ পয়েন্ট নিয়ে ২৬তম হয়ে বিদায় নিয়েছে স্টুটগার্ট।
আগের চার রাউন্ডে জয়হীন (৩ হার, ১ ড্র) সিটি পজেশন ধরে রাখায় শুরু থেকে আধিপত্য করলেও প্রথমার্ধে গোলের জন্য ৬টি শট নিয়ে একটিও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি।
মাঝেমধ্যেই পাল্টা আক্রমণে সিটির রক্ষণে ভীতি ছড়াতে থাকে ব্রুজ। ম্যাচে লক্ষ্যে প্রথম শট রাখতে পারে তারাই। ৪১তম মিনিটে তাদের সেই প্রচেষ্টা ঠেকান গোলরক্ষক এদেরসন। ৪৫তম মিনিটে আর পারেননি তিনি। দারুণ এক আক্রমণ থেকে রাফায়েল অনিয়াডিকার গোলে স্বাগতিকদের স্তব্ধ করে দেয় সফরকারীরা।
মিডফিল্ডার গিন্দোয়ানকে তুলে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ফরোয়ার্ড সাভিনিয়োকে নামান গুয়ার্দিওলা। তাদের খেলার গতিও পাল্টে যায় এতে। ৪৭তম মিনিটে কেভিন ডে ব্রুইনের ক্রসে জন স্টোন্সের হেড অল্পের জন্য বাইরে দিয়ে যায়। ম্যাচের শুরু থেকে ধরলে, সিটির সেরা সুযোগ এটিই।
৫৩তম মিনিটে চমৎকার গোলে দলকে সমতায় ফেরান মাতেও কোভাচিচ। মাঝমাঠ থেকে বল ধরে এগিয়ে প্রতিপক্ষের তিন খেলোয়াড়ের মাঝ দিয়ে বক্সের বাইরে থেকে শটে ঠিকানা খুঁজে নেন তিনি।
৬২তম মিনিটে প্রতিপক্ষের আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় সিটি। বক্সের ভেতর বাঁ দিক থেকে সিটির ডিফেন্ডার ইয়োশকো ভার্দিওলের শট ক্লিয়ারের চেষ্টায় নিজেদের জালে পাঠান জোয়েল ওর্দোনিস।
৭৩তম মিনিটে আরেকটি গোল পেতে পারত সিটি। আর্লিং হলান্ডের প্রচেষ্টা গোলরক্ষক এগিয়ে এসে ঠেকানোর পর, ফিরতি বলে সাভিনিয়োর শট গোললাইন থেকে ক্লিয়ার করেন ব্রুজের এক ডিফেন্ডার।
চার মিনিট পরই ব্যবধান বাড়িয়ে সিটিকে বড় স্বস্তি এনে দেন সাভিনিয়ো। স্টোন্সের ক্রস বক্সে বুক দিয়ে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে কোনাকুনি শটে গোলটি করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
দেম্বেলের হ্যাটট্রিকে পিএসজির অনায়াস জয়
স্টুটগার্টের মাঠে ষষ্ঠ মিনিটেই বার্কোলার গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি। ১৭ ও ৩৫তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ান দেম্বেলে। ৫৪তম মিনিটে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন বার্সেলোনা ছেড়ে প্যারিসে যাওয়া ফরাসি এই ফরোয়ার্ড।
পরে পিএসজির উইলিয়ান পাচোর আত্মঘাতী গোলে হারের ব্যবধান কমে স্বাগতিকদের।
দুইবার এগিয়ে গিয়েও বার্সার ড্র, জিরোনাকে হারাল আর্সেনাল