চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
দ্বিতীয় স্থানে থেকে লিগ পর্ব শেষ করেছে বার্সেলোনা, তৃতীয় হয়েছে আর্সেনাল।
Published : 30 Jan 2025, 04:10 AM
ছন্দে থাকা বার্সেলোনাকে তাদের মাঠেই রুখে দিল আতালান্তা। দুইবার এগিয়ে গিয়েও ইতালিয়ান দলটিকে হারাতে পারল না হান্সি ফ্লিকের দল। অন্যদিকে, পিছিয়ে পড়ার পর ঘুরে দাঁড়িয়ে জিরোনাকে হারাল আর্সেনাল।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের লিগ পর্বের শেষ দিনে বুধবার ২-২ গোলে আতালান্তার সঙ্গে ড্র করেছে বার্সেলোনা। লা লিগার দল জিরোনাকে ২-১ গোলে হারিয়েছে আর্সেনাল।
লামিনে ইয়ামাল বার্সেলোনাকে এগিয়ে নেওয়ার পর গতিময় শটে সমতা ফেরান এদেরসন। রোনাল্দ আরাউহো ফের স্বাগতিকদের এগিয়ে নেওয়ার পর আবার সমতা টানেন মারিও পাসালিচ। চারটি গোলই হয় দ্বিতীয়ার্ধে।
আর জিরোনার মাঠে তিনটি গোলই হয় প্রথমার্ধে।
আর্নাউট ডানইউমার গোলে পিছিয়ে পড়ার পর সফল স্পট কিকে সমতা ফেরান জর্জিনিয়ো। পরে ব্যবধান গড়ে দেন আর্সেনালের তরুণ প্রতিভা ইথান নোয়ানেরি।
৬ জয় ও এক ড্রয়ে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থেকে লিগ পর্ব শেষ করেছে বার্সেলোনা। গোল পার্থক্যে পিছিয়ে তৃতীয় হয়েছে আর্সেনাল।
১৫ পয়েন্ট নিয়ে ৯ নম্বরে লিগ পর্ব শেষ করেছে আতালান্তা। আগেই শেষ ২৪-এ থাকার সম্ভাবনা শেষ হয়ে যাওয়া জিরোনা ৩৩ নম্বরে থেকে বিদায় নিয়েছে ইউরোপ সেরার মঞ্চ থেকে।
আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে শুরু থেকে রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচে একাদশ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত আতালান্তা। একটি ক্রস বিপদমুক্ত করতে গিয়ে নিজেদের জালেই পাঠিয়ে দিচ্ছিলেন আলেহান্দ্রো বাল্দে। চমৎকার রিফ্লেক্সে ঠেকিয়ে দেন বার্সেলোনা গোলরক্ষক ভয়চেখ স্ট্যান্সনি।
পরের মিনিটে পায়ের দারুণ কারিকুরিতে সুযোগ তৈরি করেন ইয়ামাল। তরুণ ফরোয়ার্ডের বাঁকানো শট বেরিয়ে যায় দূরের পোস্ট ঘেঁষে।
ত্রয়োদশ মিনিটে মাতেও রেতেগির শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন স্ট্যান্সনি। ৩৫তম মিনিটে খুব কাছ থেকে বল জালে পাঠান দাভিদে জাপ্পাকস্তা। তিনিই অফসাইডে থাকায় মেলেনি গোল।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে রাফিনিয়ার শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান আতালান্তা গোলরক্ষক। ৭২ শতাংশ সময় বল দখলে রাখা বার্সেলোনার প্রথমার্ধে এটাই লক্ষ্যে প্রথম শট।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই প্রতি-আক্রমণ থেকে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। নিজেদের অর্ধ থেকে বাড়ানো বলে ছুটে গিয়ে ডি-বক্সে ক্রস করেন রাফিনিয়া। এগিয়ে গিয়ে বলের নাগাল পাননি আতালান্তা গোলরক্ষক মার্তো কার্নেসেচ্চি। গতিতে সায়েদ কোলাসিনাককে পেছনে ফেলে জাল খুঁজে নেন ইয়ামাল।
৬০তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেন রবের্ত লেভানদোভস্কি। রাফিনিয়ার ক্রসে গোলরক্ষককে একা পেয়েও ঠিকঠাক শট নিতে পারেননি তিনি, তার পায়ে লেগে বল বেরিয়ে যায় পোস্ট ঘেঁষে।
৬৭তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে বুলেট গতির শটে সমতা ফেরান ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার এদেরসন। ঝাঁপিয়েও বলের নাগাল পাননি বার্সেলোনা গোলরক্ষক।
পাঁচ মিনিট পর ফের এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। রাফিনিয়ার কর্নারে দূরের পোস্টে অরক্ষিত আরাউহো ঠাণ্ডা মাথার হেডে বল পাঠান জালে।
সমতা ফেরাতে এবার খুব বেশি সময় নেয়নি আতালান্তা। খুব কাছ থেকে পাসালিচের শট যায় জালে। দুই পায়ের ফাঁক গলে বেরিয়ে যাওয়া বল ঠেকাতে পারেননি স্ট্যান্সনি।
যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে ফেররান তরেসের শট ঝাঁপিয়ে কোনোমতে ঠেকান আতালান্তা গোলরক্ষক। সমতায় শেষ হয় জমজমাট লড়াই।
এদিকে, ঘরের মাঠে ২৮তম মিনিটে এগিয়ে যায় জিরোনা। ডি-বক্সের বাইরে থেকে জোরাল শটে জাল খুঁজে নেন ডানইউমা।
সফল স্পট কিকে ৩৮তম মিনিটে সমতা ফেরান জর্জিনিয়ো। ডি-বক্সে টমাস পার্টিকে স্বাগতিকদের আর্নাউ মার্তিনেস ফাউল করায় পেনাল্টি পেয়েছিল আর্সেনাল।
চার মিনিট পরই এগিয়ে যায় তারা। ডি-বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের গতিময় শটে ঠিকানা খুঁজে নেন নোয়ানেরি।
৪৪তম মিনিটে বাড়তে পারত ব্যবধান। আর্সেনাল ফরোয়ার্ড লিয়ান্দ্রো ত্রোসারের শট ব্যর্থ হয় পোস্টে লেগে।
৭৭তম মিনিটে জিরোনা অধিনায়ক ক্রিস্তিয়ান স্তুয়ানি জালে বল পাঠান। তবে অফসাইডের জন্য মেলেনি গোল।
যোগ করা সময়ে ব্যবধান বাড়ানোর সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেন রাহিম স্টার্লিং। তার স্পট কিক ঠেকিয়ে দেন জিরোনা গোলরক্ষক। আলেহান্দ্রো ফ্রান্সেসের হ্যান্ডবলে পেনাল্টি পেয়েছিল আর্সেনাল।
জয় পেলেও 'লক্ষ্য পূরণ হলো না' রেয়াল ও বায়ার্নের
শঙ্কা উড়িয়ে টিকে রইল সিটি, দেম্বেলের হ্যাটট্রিকে উড়ল পিএসজি