হোম
+
স্প্যানিশ ফুটবল
ওসাসুনাকে সহজেই হারিয়ে দুইয়ে থাকা রেয়াল মাদ্রিদের চেয়ে ৩ পয়েন্টে এগিয়ে গেল হান্সি ফ্লিকের দল।
Published : 28 Mar 2025, 04:00 AM
নিয়মিত খেলোয়াড়দের কয়েকজন নেই, তবে এর কোনো ছাপ পড়ল না বার্সেলোনার খেলায়। প্রথম মিনিট থেকে ওসাসুনার রক্ষণে প্রবল চাপ তৈরি করল হান্সি ফ্লিকের দল। আক্রমণাত্মক ফুটবলে সহজ জয়ে লা লিগার শীর্ষ স্থান সুসংহত করল তারা।
বার্সেলোনার চিকিৎসকের মৃত্যুতে স্থগিত হয়ে যাওয়া ম্যাচ মাঠ গড়াল বৃহস্পতিবার রাতে। একপেশে ম্যাচে ৩-০ ব্যবধানে জিতল ফ্লিকের দল।
দুই দলের প্রথম দেখায় প্রতিপক্ষের মাঠে ৪-২ গোলে হেরেছিল বার্সেলোনা। ঘরের মাঠে এর মধুর প্রতিশোধ নিল তারা।
ফেররান তরেস দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর সফল স্পট কিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন দানি ওলমো। বদলি নেমে হেডে চমৎকার গোলে ফল নিয়ে সব অনিশ্চিয়তার ইতি টানেন রবের্ত লেভানদোভস্কি।
শুরু থেকে একের পর এক আক্রমণে ওসাসুনাকে ভীষণভাবে চেপে ধরে বার্সেলোনা। গোলও পেয়ে যায় দ্রুত।
একাদশ মিনিটে ফ্রেংকি ডি ইয়ংয়ের রক্ষণ চেরা পাস পেয়ে চলতি বলেই ক্রস করেন আলেহান্দ্রো বাল্দে। দুই জনের কড়া পাহারার মধ্যেই ছুটে গিয়ে স্লাইডে জাল খুঁজে নেন তররেস।
তিন মিনিট পর ব্যবধান বাড়ানোর দারুণ সুযোগ নষ্ট করেন তরেস। লামিনে ইয়ামালের দারুণ পাসে গোলরক্ষক সের্হিও এররেরাকে একা পেয়ে যান তিনি। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি সুযোগ।
২১তম মিনিটে সফল স্পট কিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ওলমো। এর আগে নাটকীয়তা হয় বেশ।
স্প্যানিশ এই ফরোয়ার্ডকে ওসাসুনা গোলরক্ষক ফাউল করায় পেনাল্টি পায় বার্সেলোনা। ওলমোর প্রথম শট ডান দিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন এররেরা। কিন্তু শট নেওয়ার আগেই সফরকারীদের একজন ডি বক্সে ঢুকে পড়ায় ফের শট নেওয়ার সুযোগ পান স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড। একদম বার ঘেঁষে একই দিকে শট নেন তিনি আর গোলরক্ষক ঝাঁপ দেন উল্টো দিকে।
গোল করার পর বেশিক্ষণ মাঠে থাকতে পারেননি ওলমো। মৌসুমে তৃতীয়বারের মতো চোট পেয়ে ২৭তম মিনিটে মাঠ ছাড়েন তিনি। বদলি নামেন ফের্মিন লোপেস।
২৯তম মিনিটে পেদ্রির ক্রসে খুব কাছ থেকে ঠিক মতো শট নিতে পারেননি তররেস। দুই মিনিট পর ইয়ামালের আড়াআড়ি শট বেরিয়ে যায় দূরের পোস্টের কাছ দিয়ে।
৩৯তম মিনিটে একটুর জন্য জালের দেখা পাননি তররেস। তার চমৎকার ফ্রি কিক ব্যর্থ হয়ে যায় ক্রসবারে লেগে।
একই ছন্দে শুরু করা দ্বিতীয়ার্ধে প্রথম সুযোগ তৈরি করে বার্সেলোনাই। ৪৭তম মিনিটে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি পেদ্রি।
পরের মিনিটে কর্নার থেকে হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি ওসাসুনা ডিফেন্ডার হোর্হে এররান্দো। গোলের জন্য সফরকারীদের এটাই প্রথম শট। পাল্টা আক্রমণে বার্সেলোনার পাবলো তোরের শট বেরিয়ে যায় পোস্ট ঘেঁষে।
৫৬তম মিনিটে আরও একটি সুযোগ নষ্ট করেন তররেস। খুব কাছ থেকে আরও একটি শট লক্ষ্যে রাখতে ব্যর্থ হন তিনি।
৬০তম মিনিটে বদলি নামার পরের মিনিটে সুযোগ পান ওসাসুনা ফরোয়ার্ড মোই গোমেস। চমৎকার স্লাইডে কর্নারের বিনিময়ে তার শট ফিরিয়ে দেন এরিক গার্সিয়া।
এরপর কিছুক্ষণ আক্রমণাত্মক ফুটবলে ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করে ওসাসুনা। গোমেসের সঙ্গে আসরে তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা আন্তে বুদেমির বদলি নামার পর বাড়ে দলটির আক্রমণের ধার। তবে চাপ বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি তারা।
৭৭তম মিনিটে চমৎকার পাল্টা আক্রমণে ব্যবধান বাড়ায় বার্সেলোনা। নিজেদের ডি বক্সের সামনে থেকে বাড়ানো বল ধরে লোপেস দারুণ ক্রসে খুঁজে নেন লেভানদোভস্কিকে। অসাধারণ হেডে বাকিটা সারেন ছন্দে থাকা পোলিশ স্ট্রাইকার।
চলতি আসরে এটি তার ২৩তম গোল।
৮৬তম মিনিটে স্কোর লাইন ৪-০ করার সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন পাউ ভিক্তর। গোলরক্ষককে একা পেয়ে অনেকটা তার বরাবরই শট নেন এই তরুণ।
২৮ ম্যাচে ২০ জয় ও তিন ড্রয়ে ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে বার্সেলোনা। ৬০ পয়েন্ট নিয়ে দুই রেয়াল মাদ্রিদ, ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আতলেতিকো মাদ্রিদ।
৩৩ পয়েন্ট নিয়ে ১৪ নম্বরেই আছে ওসাসুনা।
