মারাদোনা নাপোলিতে সবার হৃদয়ে আছেন, বললেন স্কটিশ মিডফিল্ডার।
Published : 15 Nov 2024, 10:49 PM
নাপোলির আকাশি-নীল জার্সি গায়ে সবশেষ যখন মাঠে নেমেছিলেন দিয়েগো মারাদোনা, তখন স্কট ম্যাকটমিনের জন্মই হয়নি। নেপলস ছাড়ার ৩৩ বছর পরও ক্লাবটির সবার হৃদয়ে আলাদা জায়গা নিয়ে আছেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। ম্যাকটমিনেও বললেন তাই। মারাদোনার নামকরণে নাপোলির স্টেডিয়ামের দরজা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময়ও তাকে অনুভব করতে পারেন এই স্কটিশ মিডফিল্ডার।
গত শতকের আশির দশকে নাপোলির হয়ে বিস্ময়কর সব রূপকথার জন্ম দিয়েছিলেন মারাদোনা। ১৯৮৪ সালে বার্সেলোনা ছেড়ে নাপোলিতে যোগ দেন তিনি। হয়ে ওঠেন দলটির চালিকাশক্তি। আর্জেন্টিনাকে ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জেতানোর পরের বছরই নাপোলিকে এনে দেন তাদের ইতিহাসের প্রথম সেরি আ শিরোপা। তিন বছর পর আরেকটি।
সাত বছরের অধ্যায়ে ক্লাবটিকে একটি করে ইতালিয়ান কাপ, ইতালিয়ান সুপার কাপ ও উয়েফা কাপও (এখনকার ইউরোপা লিগ) জেতান তিনি।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে ২৭ বছর বয়সী ম্যাকটমিনে নাপোলিতে যোগ দেন গত অগাস্টে। পাঁচ বছর বয়সে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে পা রেখেছিলেন তিনি। নাপোলিতে যাওয়ার আগে ক্যারিয়ারের পুরোটা খেলেছেন প্রিমিয়ার লিগের দলটির হয়েই।
অল্প সময়েই নাপোলির সমর্থকদের খুব প্রিয় হয়ে উঠেছেন ম্যাকটমিনে। কোচ আন্তোনিও কন্তের দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য তিনি।
সেরি আয় এখন পর্যন্ত ৯ ম্যাচ খেলে গোল ও অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি দুটি করে। ১২ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষে আছে নাপোলি।
বর্তমানে জাতীয় দলের সঙ্গে থাকা ম্যাকটমিনে নেশন্স লিগে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে শুক্রবারের ম্যাচ সামনে রেখে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, নাপোলির বর্তমান দলের জন্য প্রতিদিনই অনুপ্রেরণা হয়ে আছেন মারাদোনা।
“হ্যাঁ তাই। অবশ্যই তিনি সবচেয়ে আইকনিক ফুটবলার, যিনি খেলাটি খেলেছেন। আমি যখন প্রথম (নাপোলির) স্টেডিয়ামে হেঁটে যাই, তখন পরাবাস্তব অনুভূতি হয়েছিল, তিনি একজন আইকন, ফুটবলের সত্যিকারের একজন কিংবদন্তি।”
“তিনি নেপলসে আমাদের হৃদয়ে আছেন। মানুষ তাকে খুব শ্রদ্ধা করে, ভালোবাসে, যা খুব বড় ব্যাপার। তাই আমাদের জন্য, তিনি অবশ্যই আমাদের মন ও হৃদয়ে আছেন।”