লা লিগা
পুরো ম্যাচে ইয়ামাল-লেভানদোভস্কিদের দাপুটে পারফরম্যান্সের সামনে একটুও প্রতিরোধ গড়তে পারেনি ১০ জনের সোসিয়েদাদ।
Published : 02 Mar 2025, 11:12 PM
ম্যাচের শুরুতেই ১০ জনের দলে পরিণত হয়ে পুরোপুরি খোলসে ঢুকে পড়ে রেয়াল সোসিয়েদাদ। মনোযোগ দেয় ঘর সামলানোয়। প্রতিপক্ষের আক্রমণের ঝড়ের মুখে সেটাও পারেনি তারা। তাদেরকে পুরোটা সময় কোণঠাসা করে রেখে দাপুটে জয় তুলে নিল বার্সেলোনা।
অলিম্পিক স্টেডিয়ামে রোববার লা লিগার ম্যাচটি ৪-০ গোলে জিতেছে হান্সি ফ্লিকের দল। জেরার্দ মার্তিনের গোলে স্বাগতিকরা এগিয়ে যাওয়ার পরপরই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মার্ক কাসাদো। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে অল্প সময়ে জালে বল পাঠান রোনাল্দ আরাউহো ও রবের্ত লেভানদোভস্কি।
মাঠের লড়াই কতটা একপেশে ছিল, তা অন্যান্য পরিসংখ্যানেও স্পষ্ট। ৭৫ শতাংশের বেশি সময় বল দখলে রেখে গোলের জন্য ৩৩টি শট নিয়ে ১০ লক্ষ্যে রাখতে পারে বার্সেলোনা। সেখানে একবারও গোলের উদ্দেশ্যে শট নিতে পারেনি সোসিয়েদাদ।
আগের দিন আথলেতিক বিলবাওকে হারিয়ে ২৬ ম্যাচে ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ওঠে আতলেতিকো মাদ্রিদ। এবার তাদের ছাড়িয়ে চূড়ায় ফিরল বার্সেলোনা; সমান ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৫৭।
তৃতীয় স্থানে নেমে যাওয়া রেয়াল মাদ্রিদের পয়েন্ট ৫৪।
ম্যাচের শুরুতে অবশ্য বেশ গোছানো একটা আক্রমণ শাণায় সোসিয়েদাদ। বার্সেলোনার জালে বলও পাঠায় তারা; কিন্তু কিঞ্চিৎ ব্যবধানে হাভি লোপেস অফসাইডে থাকায় মেলেনি গোল।
এরপরই, সপ্তদশ মিনিটে সবকিছু বদলে দেওয়া ওই ধাক্কা খায় সফরকারীরা। প্রতি-আক্রমণে সতীর্থের বল ধরে দানি ওলমো এগিয়ে যাওয়ার মুখে তাকে টেনে ফেলে দেন আরিৎস এলুসতোন্দো, সঙ্গে সঙ্গে এই স্প্যানিশ ডিফেন্ডারকে লাল কার্ড দেখান রেফারি।
এরপর টানা আক্রমণ শুরু করে বার্সেলোনা। দ্রুত সাফল্যও পেয়ে যায় তারা। ২৫তম মিনিটে ওলমোর বাড়ানো বল দূরের পোস্টে পেয়ে কোনাকুনি শটে গোলটি করেন বার্সেলোনার ‘বি’ দল থেকে আসা জেরার্দ মার্তিন।
কাতালান ক্লাবটির সিনিয়র দলের হয়ে প্রথম জালের দেখা পেলেন স্পেনের এই লেফট-ব্যাক।
চার মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন বার্সেলোনার যুব দল থেকে উঠে আসা ফুটবলার মার্ক কাসাদো। কর্নারে উড়ে আসা বল গোলরক্ষক পাঞ্চ করে ফেরানোর পর বক্সের বাইরে পেয়ে জোরাল শট নেন ওলমো, বক্সের মাঝে তাতেই ছোঁয়া দিয়ে বার্সেলোনার হয়ে প্রথম জালের দেখা পান এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার।
প্রতিপক্ষকে পুরোপুরি আটকে রেখে প্রথমার্ধে গোলের জন্য ১৩ শট নিয়ে চারটি লক্ষ্যে রাখা বার্সেলোনা বিরতির পরও একইভাবে শুরু করে। এবারও চার মিনিটে জোড়া গোল করে তারা।
৫৬তম মিনিটে কর্নারের ফলশ্রুতিতে ব্যবধান আরও বাড়ায় বার্সেলোনা। প্রথমে রবের্ত লেভানদোভস্কির হেড ঝাঁপিয়ে আটকালেও বল গ্লাভসে নিতে পারেননি গোলরক্ষক, ফিরতি বল পেয়ে হেডেই জালে পাঠান আরাউহো।
পরের গোলেও জড়িয়ে এই দুজনের নাম, ভূমিকা কেবল ভিন্ন। দূর থেকে নিচু শট নেন আরাউহো, বক্সে প্রতিপক্ষের দুজনের মধ্যে থেকে দারুণ এক টোকায় বলের গতিপথ বদলে দেন লেভানদোভস্কি। গোলরক্ষক ঠেকানোর কোনো সুযোগই পাননি।
এবারের লিগে পোলিশ স্ট্রাইকারের গোল হলো ২১টি। চারটি কম নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রেয়াল মাদ্রিদের কিলিয়ান এমবাপে।
আসরে প্রথম দেখায় গত নভেম্বরে ঘরের মাঠে বার্সেলোনাকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল সোসিয়েদাদ। তাদেরকে এবার উড়িয়ে দিয়ে সেই ক্ষতে প্রলেপ দিল ফ্লিকের দল।
এবারের লিগে দ্বাদশ হারের তেতো স্বাদ পেল সোসিয়েদাদ। ২৬ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে নবম স্থানে আছে তারা।