ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ
আসরের শুরু থেকে সাহসী ফুটবল খেলার পরিকল্পনা ও ভাবনা ছিল, ফ্রান্সের বিপক্ষেও একই পথে থাকতে চান বেলজিয়াম কোচ দোমেনিকো তেদেসকো।
Published : 01 Jul 2024, 08:34 AM
কষ্টে গ্রুপ পর্বের বৈতরণী পার হওয়া বেলজিয়ামের প্রতিপক্ষ এবার ফ্রান্স। ঐতিহ্যে অনেক, শক্তিতেও বেশ এগিয়ে ইউরোর দুই বারের চ্যাম্পিয়ন ফরাসিরা। তবে বেলজিয়াম কোচ দোমেনিকো তেদেসকো হাল ছাড়তে চান না। শেষ ষোলোর লড়াইয়ে নিজেদের ওপর বিশ্বাস, আস্থা নিয়ে নামার বার্তা শিষ্যদের দিলেন তিনি।
ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে সোমবার ফ্রান্সের মুখোমুখি হবে বেলজিয়াম। প্রতিযোগিতার শুরু থেকে সাহসী ফুটবল খেলার পরিকল্পনা, সেই একই মানসিকতা নিয়ে ডুসেলডর্ফের আঙিনায় নামতে চান তেদেসকো।
“শুরু থেকেই আমরা সাহসী ফুটবল খেলতে চেয়েছি, এই ম্যাচও আমরা নিজেদের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে শুরু করতে চাই।”
“গত দুই তিন দিন আমরা এই বিশ্বাসে কাজ করেছি। কেননা, যদি আস্থাই না থাকে, তাহলে কিছু থাকে না। তাই আমাদেরকে বিশ্বাস করতে হবে এবং সবাই জানে, আমাদের আসলেই শীর্ষ, শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবল এই ম্যাচে খেলা প্রয়োজন।”
একটি করে জয় ও ড্রয়ে কোনোমতে নকআউট পর্বে ওঠে বেলজিয়াম। গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে ইউক্রেনের বিপক্ষে গোলশুন্য ড্র করে কিছুদিন আগেও ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে থাকা দলটি। ইউরো মিশনে দলের মলিন পারফরম্যান্সে সমর্থকরা ক্ষোভ, উষ্মা আড়াল করেননি। তেদেসকো বুঝতে পারছেন সমর্থকদের মনোভাব।
“সমর্থকরা যা খুশি করতে পারেন। যদি তাদের আবেগ থাকে, যদি কোনো ভাবনা থাকে…নিজেদের অনুভূতি তারা প্রকাশ করতে পারেন।”
“এতে কোনো সমস্যা নেই। একজন সমর্থক টিকেটের জন্য অনেক অর্থ খরচ করেন। তো তাদের ক্ষোভ জানানো ঠিক আছে, কিন্তু আমার ভাবনাও ঠিক, গ্রুপ পেরুনো একটি দলের কথা শোনাটাও হতাশাজনক।”
গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচে মাত্র দুই গোল করেছিল বেলজিয়াম। ফ্রান্সও দুই গোল পেয়েছিল, একটি প্রতিপক্ষের আত্মঘাতী ও আরেকটি পেনাল্টি থেকে। তেদেসকো অবশ্য পরিসংখ্যানের সংখ্যা নিয়ে ভাবতে চাইছেন না এখন।
“পরিসংখ্যানের এটাই সমস্যা। কেননা, আপনি কেবল এই সংখ্যার দিকে তাকাবেন এবং অবশ্যই বললেন, এরা দুর্বল এবং ওরা দুর্বল, কিন্তু এটা সত্যি নয়।”
“দুই দলের ক্ষেত্রেই আমি মনে করি, আপনারা যদি বেলজিয়াম ও ফ্রান্সের ম্যাচ দেখেন, উভয় দলই অনেক সুযোগ তৈরি করেছিল, এমনকি বল পজেশনেও ভালো ছিল। আমি মনে করি, অনেকগুলো সুযোগ এসেছিল, অনেক প্রত্যাশিত গোল (হতে পারত ম্যাচগুলোতে)।”