দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দামি ডিফেন্ডার হিসেবে ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দিলেন ইয়োশকো ভার্দিওল।
Published : 05 Aug 2023, 05:56 PM
আর্লিং হলান্ড প্রতিপক্ষের জন্য কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারেন, তাকে থামানো কোনো রক্ষণভাগের জন্যই কতটা দুরূহ কাজ হতে পারে, গত মৌসুমে তার প্রমাণ মিলেছে অসংখ্যবার। ক্রোয়াট ডিফেন্ডার ইয়োশকো ভার্দিওল নিজেও এর সাক্ষী। তাই ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দিয়ে বেশ স্বস্তি বোধ করছেন তিনি, নরওয়ের এই ফরোয়ার্ডের মুখোমুখি তো আর হতে হবে না!
লাইপজিগে দারুণ দুটি মৌসুম কাটিয়ে সিটিতে যোগ দিলেন ভার্দিওল। তাকে পাঁচ বছরের চুক্তিতে দলে নেওয়ার কথা শনিবার জানায় ইংলিশ চ্যাম্পিয়নরা। ট্রান্সফার ফির বিষয়ে অবশ্য কিছু জানানো হয়নি।
তবে ব্রিটিশ গণমাধ্যমের খবর, ভার্দিওলকে কিনতে সাত কোটি ৭০ লাখ পাউন্ড খরচ হয়েছে সিটির। তাতে ২১ বছর বয়সেই বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দামি ডিফেন্ডার হয়ে গেলেন তিনি।
তার চেয়ে বেশি আট কোটি পাউন্ডে ২০১৯ সালে হ্যারি ম্যাগুইয়ারকে লেস্টার সিটি থেকে কিনেছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
ইংল্যান্ডে আসতে পেরে অনেক দিনের চাওয়া পূরণ হচ্ছে ভার্দিওলের। চুক্তি সেরে তার কণ্ঠেও ফুটে উঠল সেই উচ্ছ্বাস।
“ইংল্যান্ডে খেলার স্বপ্ন আমি সবসময় দেখতাম। আর ম্যানচেস্টার সিটির জার্সিতে সেটা করতে পারায়-গত মৌসুমটা তারা যেভাবে কাটিয়েছে (ট্রেবল জিতেছে)-আমার জন্য এটা সত্যিই অনেক সম্মানের।”
“যারা গত মৌসুমে ম্যানচেস্টার সিটিকে খেলতে দেখেছে, তারা জানে যে এই দলটিই বিশ্বের সেরা। ট্রেবল জয়ের মাঝেই এই দলের গুণগত মানের প্রমাণ মেলে।”
সিটিতে যোগ দিয়ে ভার্দিওলের এতটা খুশি হওয়ার বিশেষ একটা কারণও অবশ্য আছে। এই দলে যে আছে আর্লিং হলান্ড। ২৩ বছর বয়সী এই ফুটবলার কতটা বিধ্বংসী হতে পারেন, তার প্রমাণ ভালোমতোই মিলেছে গত মৌসুমে। ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে অভিষেক মৌসুমেই ৫২ গোলের রেকর্ড গড়েন তিনি। প্রিমিয়ার লিগের এক আসরে করেন সর্বোচ্চ ৩৫ গোল।
এছাড়াও গড়েছেন আরও কত কীর্তি! উল্লেখযোগ্য একটির সরাসরি সাক্ষী হয়েছিলেন ভার্দিওল; গত মার্চে তার ওই সময়ের দল লাইপজিগের বিপক্ষে একাই ৫ গোল করেছিলেন হলান্ড। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর ফিরতি লেগের ওই ম্যাচে ৭-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল জার্মান ক্লাবটি।
ভার্দিওলের মতে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গত মৌসুমে সবাই মনে মনে সিটিকে এড়াতে চাইছিল। এখন সেই দলেরই একজন তিনি। তাই একই সঙ্গে স্বস্তি আর ভালোলাগা কাজ করছে তার মধ্যে। আর এর অনেকটাই কারণ হলান্ডের সতীর্থ হতে পারা।
“আর্লিং হলান্ডের কথা বলতে গেলে, আমরা সবাই জানি গত মৌসুমে সে আমাদের বিপক্ষে কী করেছিল। আর্লিংকে অভিনন্দন।”
“তাকে সতীর্থ হিসেবে পাওয়া দারুণ। তবে হ্যাঁ, গত মৌসুম এবং তার আগের মৌসুমে বুন্ডেসলিগায়ও সে কঠিন খেলোয়াড় ছিল, ক্ষিপ্রগতির। বিশ্বের সেরা হতে যা যা দরকার, সবই ছিল তার মধ্যে।”
“সৌভাগ্যবশত এখন আমি তার দলে এবং তাকে নিয়ে আমাকে আর ভাবতে হবে না।”
ক্রোয়েশিয়া জাতীয় দলেও গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হয়ে উঠেছেন ভার্দিওল। আন্তর্জাতিক ফুটবলে এখন পর্যন্ত ২১ ম্যাচ খেলে দুই গোল করেছেন তিনি। ক্রোয়াটদের ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপে তৃতীয় হওয়া এবং গত নেশন্স লিগে রানার্সআপ হওয়ার পথে রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।