ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ
শক্তিতে এগিয়ে থাকা ইংল্যান্ডকে নিজেদের সামর্থ্য দেখাতে উন্মুখ স্লোভাকিয়া অধিনায়ক মিলান স্ক্রিনিয়ার।
Published : 29 Jun 2024, 09:26 AM
হ্যারি কেইন, জুড বেলিংহ্যাম, ফিল ফোডেন ছাড়াও ব্যক্তিগত নৈপুণ্যনির্ভর খেলোয়াড় ইংল্যান্ড দলে আছেন আরও কয়েকজন। যেকোনো মুহূর্তে তারা গড়ে দিতে পারেন ম্যাচের ভাগ্য। স্লোভাকিয়া দলে এমন খেলোয়াড় নেই বললেই চলে। দলটির অধিনায়ক মিলান স্ক্রিনিয়ার তাই দলীয় প্রচেষ্টায় আটকাতে চান প্রতিপক্ষকে।
ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ ষোলোয় আগামী রোববার মুখোমুখি হবে দুই দল। গেলসেরকিনশেনের ম্যাচ সামনে রেখে নিজেদের করণীয় জানান স্ক্রিনিয়ার।
সমর্থকদের মন ভরাতে না পারলেও গ্রুপ সেরা হয়ে নকআউট পর্বের মঞ্চে এসেছে ইংল্যান্ড। তৃতীয় সেরা চার দলের একটি হয়ে গ্রুপ পর্বের বৈতরণী পার হয়েছে স্লোভাকিয়া। দলটির অধিনায়কের মনে হচ্ছে, সেরাটা মেলে ধরতে না পারা গ্যারেথ সাউথগেটের দলই বরং তাদের চেয়ে চাপে থাকবে বেশি।
“আমার মতে, তারা ব্যক্তিগত নৈপুণ্যনির্ভর খেলোয়াড়দের ওপর নির্ভর করে এবং তারা জানে, ম্যাচের নির্ণায়ক হয়ে ওঠা খেলোয়াড় তাদের আছে। এ কারণে, আমি মনে করি, দলীয় প্রচেষ্টায় আমরা তাদের সামলাতে পারি।”
“তাদের (ইংল্যান্ড) ম্যাচগুলোর পর গণমাধ্যম এবং সমর্থকরা তাদের সমালোচনা করছে। তাই আমাদের চেয়ে তারাই চাপে থাকবে বেশি। এটা আমাদের পক্ষে কাজ করতে পারে।”
ইংল্যান্ডের শক্তিশালী আক্রমণভাগের বিপক্ষে স্লোভাকিয়ার রক্ষণকে দিতে হতে পারে মূল পরীক্ষা। স্লোভাকিয়ার এই ২৯ বছর বয়সী ডিফেন্ডারের চাওয়া নিজেদের সামর্থ্য প্রতিপক্ষকে দেখিয়ে দেওয়া।
“নিশ্চিতভাবেই রক্ষণের পর্বটি গুরুত্বপূর্ণ হবে। আক্রমণকারীদের থেকে নিজেদের রক্ষা করতে হবে, কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ফুটবল ঠিকঠাক খেলা।”
“আমরা যে খেলতে পারি, সেটা তাদের দেখিয়ে দিতে হবে। দেখিয়ে দিতে হবে, তারা যাদের বিপক্ষে নেমেছে, তারা জানে কী করতে হবে।”
১৯৭৬ সালে চেকোস্লোভাকিয়ার অংশ থাকাকালীন ইউরো জয়ের স্বাদ পেয়েছিল স্লোভাকিয়া। তবে, ১৯৯৩ সালে স্বাধীনতা লাভের পরের ২৩ বছরে তারা ইউরোর মূল পর্বেই উঠতে পারেনি।
সেই খরা কাটিয়ে ২০১৬ ইউরোয় খেলার সুযোগ পায় স্লোভাকিয়া, সেই আসরে শেষ ষোলোয় পথচলা থেমেছিল তাদের। আর গত ইউরোর গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে যায় তারা।