কোচের মতো ইংল্যান্ড জাতীয় দলের অধিনায়ক হ্যারি কেইনও একই কারণে চিন্তিত।
Published : 26 Mar 2025, 03:54 PM
ক্লাব ও জাতীয় দলের অনেক ম্যাচের ভিড়ে মৌসুম জুড়ে বিশ্রামের কোনো সুযোগ নেই বললেই চলে। সেখানে জুন মাসেও আন্তর্জাতিক ফুটবলের ব্যস্ততা থাকলে, মৌসুম শেষে লম্বা বিরতিটাও পাবেন না খেলোয়াড়রা। তাই ফিফার কাছে ‘জুনের সূচি’ পরিবর্তনের আর্জি জানিয়েছেন ইংল্যান্ডের নতুন কোচ টমাস টুখেল।
দিনে দিনে ফুটবল দুনিয়ায় কোচ-খেলোয়াড়দের ব্যস্ততা বেড়েই চলেছে। এর মূল কারণ আর কিছু নয়, নতুন নতুন টুর্নামেন্টের আয়োজন। যার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ছে খেলোয়াড়দের ওপর, বাড়ছে তাদের চোটে পড়ার হার।
অনেক দিন ধরে বিষয়টি নিয়ে কথা বলছেন ক্লাবগুলোর কোচ ও খেলোয়াড়রা। কিন্তু সেসব খুব একটা আমলে নিচ্ছেন না ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থার কর্তারা। তাদের প্রতি নতুন করে আরেকটা অনুরোধ করলেন টুখেল। অন্তত জুনের আন্তর্জাতিক ফুটবলের সূচি অন্য সময়ে নেওয়ার অনুরোধ করলেন, যাতে লম্বা মৌসুম শেষে টানা কিছুদিন ছুটি কাটাতে পারে খেলোয়াড়রা।
“জুনের সূচি কারোর জন্যই ভালো কিছু নয়, বিশেষ করে খেলোয়াড়দের জন্য। খেলোয়াড়দের ভালোর জন্য, ফিফা চাইলে ওই সময়ের ম্যাচগুলোর অন্য কোনো উইন্ডো খুঁজে নিতে পারে।”
“খেলোয়াড়রা কতগুলো ম্যাচ খেলছে, সে বিষয়ে আমি অতটা চিন্তিত নই। আমার দুর্ভাবনার বড় কারণ হলো, তারা কখনোই টানা তিন-চার সপ্তাহের ছুটি পায় না…এটাই সমস্যা।”
ইংল্যান্ড জাতীয় দলের অধিনায়ক হ্যারি কেইনও একই কারণে খেলোয়াড়দের নিয়ে চিন্তিত। তবে তিনি মনে করেন, ক্লাব কর্তৃপক্ষ ও কোচরা মিলে এই পরিস্থিতি সামলে নেওয়ার সম্ভব।
“ক্লাবের দৃষ্টিকোণ থেকে আরও বেশি অর্থ আয়ের পক্ষে যুক্তি দেখানো হয়। পাশাপাশি খেলোয়াড়দের মঙ্গলের একটা বিষয়ও আছে, আর সেটা বেশি চোটে পড়া এড়িয়েই সম্ভব।”
“তবে আমার মনে হয় না খেলোয়াড়দের কথায় খুব একটা গুরুত্ব দেওয়া হয়। আমি ফুটবল খেলতে ভালোবাসি, তাই খেলার বিষয়ে আমি কখনও অভিযোগ করব না। ক্লাব ও কোচরা মিলে সমস্যাটা যদি ভালোমতো সামলাতে পারে, তাহলে নির্দিষ্ট কিছু সময়ে (খেলোয়াড়দের) বিশ্রাম দেওয়া সম্ভব।”
এই মাসের সূচিতেই ২০২৬ সালের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে পথচলা শুরু করেছে ইংল্যান্ড। প্রথম দুই ম্যাচে আলবেনিয়াকে ২-০ ও লাটভিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে ইংলিশরা।
এতে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ইউরোপ অঞ্চলের বাছাইয়ে ‘কে’ গ্রুপের শীর্ষে আছে ইংল্যান্ড। ৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আলবেনিয়া।