চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখকে হারিয়ে সেরা আটে থাকার সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রেখেছে ফেইনুর্ড।
Published : 23 Jan 2025, 04:20 AM
অসংখ্য সুযোগ হাতছাড়া করার পাশাপাশি রক্ষণে অনেক ভুলের চড়া মাশুল দিল বায়ার্ন মিউনিখ। তাদের ভীষণ হতাশার রাতে দারুণ এক প্রাপ্তি ধরা দিল ফেইনুর্ডের হাতে। আঁটসাঁট রক্ষণ আর গতিময় আক্রমণভাগের সৌজন্য তারা পেল স্মরণীয় এক জয়।
ঘরের মাঠে বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে ৩-০ গোলে জিতেছে ফেইনুর্ড। জোড়া গোল করে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন সান্তিয়াগো হিমেনেস, শেষ দিকে জালের দেখা পেয়েছেন আয়াসে উয়েদা।
ম্যাচের ফলাফলে যদিও নেই মাঠের প্রতিচ্ছবি। প্রায় ৮০ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের জন্য ৩০টি শট নেয় বায়ার্ন, তবে এর কেবল ছয়টি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে ফেইনুর্ডের আট শটের লক্ষ্যে থাকা তিনটিই যায় জালে!
ঘন ধোঁয়ায় শুরুতে আট মিনিটের মতো বন্ধ থাকে খেলা। ফের শুরু হওয়ার পর নবম মিনিটে দুরূহ কোণ থেকে ফেইনুর্ড ফরোয়ার্ড হিমেনেসের শট প্রতিহত হয়।
এলোমেলো ফুটবলের মাঝে বায়ার্নকে চমকে দিয়ে ২১তম মিনিটে এগিয়ে যায় ফেইনুর্ড। নিজেদের অর্ধ থেকে খেইস স্মালের উঁচু করে বাড়ানো বল প্রথম স্পর্শে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গতিময় শটে জাল খুঁজে নেন হিমেনেস। উত্তাল হয়ে ওঠে গ্যালারি।
দুই মিনিট পর সমতা ফেরানোর সুযোগ নষ্ট করেন লেয়ন গোরেটস্কা। দায়ত উপামেকানোর ক্রসে হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি তিনি।
ডাচ দলটির রক্ষণে প্রবল চাপ তৈরি করে একের পর এক সুযোগ তৈরি করে বায়ার্ন। ৩২তম মিনিটে জামাল মুসিয়ালার বাঁ পায়ের শট থাকেনি লক্ষ্যে। পরের মিনিটে তার পাস থেকে কুমানের শট ঠেকিয়ে দেন বেইলো।
৩৪তম মিনিটে বিপজ্জনক জায়গা থেকে বল ওপর দিয়ে মেরে দলকে হতাশ করেন গোরেটস্কা। পরের মিনিটে মাইকেল ওলিসেও পারেননি শট লক্ষ্যে রাখতে। নষ্ট হয় বায়ার্নের আরেকটি সুযোগ।
৪২তম মিনিটে খুব কাছ থেকে গোলরক্ষক বরাবর শট নিয়ে দারুণ সুযোগ নষ্ট করেন হ্যারি কেইন।
যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে প্রতিহত হয় বায়ার্নের তিনটি শট, এর পাশাপাশি ডান পাশের পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায় উপামেকানোর শট।
চোট পেয়ে খানিক পর মাঠ ছাড়েন আলফুঁস ডেভিস। তার জায়গায় নামা রাফায়েল গেরেইরো বক্সে প্রতিপক্ষকে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় ফেইনুর্ড। সফল স্পট কিকে ব্যবধান বাড়ান মেক্সিকান ফরোয়ার্ড হিমেনেস। দুই গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ফেইনুর্ড।
দ্বিতীয়ার্ধেও কঠিন পরীক্ষা দিয়ে ব্যবধান ধরে রাখেন বেইলো। ৫৪তম মিনিটে খুব কাছ থেকে তিনি ঠেকান ইংলিশ স্ট্রাইকার কেইনের শট।
ছয় মিনিট পর মুসিলিয়ার হেড ব্যর্থ করে দেন বেইলো। ৬১তম মিনিটে একইভাবে ঠেকিয়ে দেন গোরেটস্কার হেড।
বায়ার্নের একের পর এক সুযোগ নষ্ট করার মধ্যেই ৮৯তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে ব্যবধান বাড়ায় ফেইনুর্ড। আন্তোনি মিলাম্বোর কাছ থেকে বল পেয়ে ঠাণ্ডা মাথার ফিনিশিংয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন জাপানের ফরোয়ার্ড উয়েদা।
সাত ম্যাচে চার জয় ও এক ড্রয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে ১১ নম্বরে উঠে এসেছে ফেইনুর্ড। জাগিয়ে রেখেছে সেরা আটে থাকার সম্ভাবনা।
সেই সম্ভাবনা ফিকে হয়ে গেছে বায়ার্নের। টানা তিন জয়ের পর এই হারে ১৫ নম্বরে নেমে গেছে ভিনসেন্ট কোম্পানির দল। সাত ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১২।
২ গোল হজমের পর ৪ গোল করে সিটিকে হারাল পিএসজি