Published : 01 Oct 2024, 10:24 AM
গোল করার পর মাঠের এক প্রান্তে ছুটে গেলেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। কিন্তু চেনা উদযাপন দেখা গেল না তার। বরং দাঁড়িয়ে ওপরে আঙুল উঁচিয়ে দেখালেন আকাশের দিকে। সেই উদযাপনের পেছনের গল্প জানা গেল ম্যাচের পরে। গোল করে বাবাকে মনে পড়ছিল আল নাস্রের তারকার।
এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এলিট গ্রুপের ম্যাচে কাতারের আল রাইয়ানকে ২-১ গোলে হারায় আল নাস্র।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে কাছ থেকে হেড করে প্রথম গোলটি করেন সাদিও মানে। দুই অর্ধে বেশ কয়েকটি সুযোগ পান রোনালদো। তার তিনটি হেড বাইরে চলে যায় অল্পের জন্য। আরেকবার বল জালে পাঠালেও গোল পাননি অফসাইড হওয়ায়।
অবশেষে ৭৬তম মিনিটে বক্সের ভেতর বল পেয়ে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারের সামনে থেকেই বা পাঁশে দারুণ ফিনিশিংয়ে বল জালে জড়ান পর্তুগিজ তারকা।
হাজার গোলের স্বপ্নপূরণের পথে তার ক্যারিয়ার গোলসংখ্যা হলো এখন ৯০৪টি।
৮৭তম মিনিটে অবশ্য একটি গোল শোধ করে দেয় আল রাইয়ান। সেই ব্যবধানেই শেষ হয় ম্যাচ।
ম্যাচের পর রোনালদো খোলাসা করেন তার অমন উদযাপনের কারণ।
“আজকের গোলের ভিন্ন একটা স্বাদ আছে… ভালো লাগত, যদি বাবা আজ বেঁচে থাকতেন। আজকে তার জন্মদিন। গোলটি বাবার জন্য।”
বেঁচে থাকলে এ দিন ৭১ বছর পূর্ণ হতো রোনালদোর বাবার। ২০০৫ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি মারা যান।
২০০৬ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালের টাইব্রেকারে জয়সূচক গোলটির পর অনেকটা এভাবেই বাবাকে স্মরণ করেছিলেন রোনালদো। এছাড়াও আরও কয়েকবার গোল উৎসর্গ করেছেন বাবাকে।
স্তেফানো পিওলি কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর আল নাস্রের জয়যাত্রা চলছেই। এই ম্যাচের পর সাদিও মানে বললেন, নতুন কোচের সঙ্গে ভালোভাবে মানিয়ে নিতে পেরেছেন তারা।
“জয় আমাদের প্রাপ্য ছিল। আমরা শুরু থেকেই ভালো খেলেছি, ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করেছি এবং অনেক সুযোগ তৈরি করেছি।”
“আমার মনে হয়, এখনও পর্যন্ত একসঙ্গে আমরা দারুণ করে চলেছি (পিওলির কোচিংয়ে)। চার ম্যাচ খেলেছি, সবকটিই জিতেছি। এর চেয়ে বেশি কিছু তো আশা করা যায় না!।”