গাজীপুরের টঙ্গীতে অবৈধ পার্কিং সরানোর জেরে পুলিশের সঙ্গে পরিবহন শ্রমিকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
শনিবার দুপুরে এ ঘটনার পর গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
সংঘর্ষের সময় এক এসআই, দুই কনস্টেবল আহত হয় এবং একটি টহল গাড়ি শ্রমিকরা ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ করে পুলিশ।
পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, শনিবার দুপুরে টঙ্গী জোনের এক পুলিশ কর্মকর্তা মেঘনা সড়কে যানজট দেখে অবৈধভাবে পার্কিং করে রাখা গাড়িগুলো সরিয়ে নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। কিন্তু শ্রমিকরা সময়ক্ষেপণ করায় ওই পুলিশ কর্মকর্তা লাঠি দিয়ে কয়েকটি গাড়ির কাচ ও হেডলাইট ভাঙচুর করেন।
এতে উত্তেজিত পরিবহন শ্রমিকরা দুপুর আড়াইটা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত মহাসড়কের দুই পাশ অবরোধ করে বিক্ষোভ করে।
পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনার পর শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করে। তবে এতে দীর্ঘ যানজটে রাত পর্যন্ত ভোগান্তি পোহাতে হয় যাত্রীদের।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিতে গেলে উত্তেজিত শ্রমিকদের ছোড়া ইটের আঘাতে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশের এসআই কায়সার হাসান ফারুক (৩২), কনস্টেবল মাসুদ রানা (৩৫), ড্রাইভার আমিনুল ইসলাম (৩৩) আহত হন। পরে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) আলমগীর হোসেন বলেন, “সড়কের ওপর গাড়ি পার্কিং নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি থেকে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে; দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
গাজীপুর জেলা ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলেন, “টঙ্গী জোনের এক পুলিশ কর্মকর্তা নিজে দাঁড়িয়ে থেকে মেঘনা সড়কের পার্কিং করা প্রায় ৩০ থেকে ৪০টি ট্রাকের কাচ, হেড লাইটসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি ভাঙচুর করেন। এতে শ্রমিকরা ক্ষিপ্ত হয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে।”