গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় যুবলীগ নেতা খুনের মামলায় গ্রেপ্তার দুজনের বিরুদ্ধে পাঁচদিন করে রিমাণ্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা কামাল হোসেন জানান, মঙ্গলবার বিকালে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ আমলী আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়।
আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. মেহেদী হাসান পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডে নেওয়া দুজন হলেন- সামিউল ইসলাম সামু (৩৪) ও আনোয়ার হোসেন (৩৫)।
গত রোববার রাতে উপজেলার সোনারায় ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম তার বন্ধু কবির মিয়াকে সাথে নিয়ে মোটরসাইকেলে বামনডাঙ্গা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে উপজেলার সুন্দরগঞ্জ-বামনডাঙ্গা সড়কের শাখামারা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ৭-৮ জন দুর্বৃত্ত রশি টেনে তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে হামলা চালায়।
এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে জাহিদুলের হাত-পায়ের রগ কেটে দেওয়াসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করা হয়। তার সঙ্গে থাকা কবিরকেও মারপিট করে দুর্বৃত্তরা।
পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। কিন্তু জাহিদুলের অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। গত সোমবার গভীর রাতে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
সোমবার রাতে জাহিদুলের বোন আনজুয়ারা বেগম বাদী হয়ে ২৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৫/২০ জনকে আসামি করেন সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
থানার ওসি কেএম আজমিরুজ্জামান জানান, মামলার রাতেই প্রধান আসামি সামিউল ইসলাম সামু এবং আনোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দুজনের বাড়ি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বৈদ্যনাথ গ্রামে।
ওসি আরও বলেন, এছাড়া ওই রাতে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক চারজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: