ঝড়ের পরপর কর্মীরা এলাকা পর্যবেক্ষণে নেমেছেন বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস।
Published : 17 May 2023, 07:20 PM
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় ঝড়ে একটি বাড়ির সীমানা প্রাচীর, গাছপালা, ঘর, দোকানপাট বিধ্বস্ত হয়েছে। সংযোগ বিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহও ব্যাহত হয়। বৃষ্টিতে পানি জমে বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কয়েক দফা ঝড় ও বৃষ্টি হয়।
শ্রীনগর উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর মো. মাহফুজ রিবেন বলেন, “ঝড়ের পরেই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এলাকা পর্যবেক্ষণে নেমেছেন।”
বুধবার সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সকালের প্রায় ১০ মিনিটের ঝড়ে ঘরবাড়ির বেশি ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার হরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংলগ্ন একটি দ্বিতল ভবনের সীমানা প্রাচীর ধসে রাস্তার উপরে পড়ে রয়েছে। এতে মানুষের চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়। একই এলাকার একটি জমির সীমানা প্রাচীরও ভেঙে গেছে।
অন্যদিকে, শ্রীনগর বাজার সংলগ্ন বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের টিনের চালা উড়ে গেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন বসতবাড়ি ও সড়কের পাশে গাছপালা ভেঙে পড়ায় যান চলাচল ব্যাহত এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
উপজেলা সদর এলাকায় বৃষ্টির পানিতে বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে শ্রীনগর থানার সামনে প্রায় হাঁটু পানি জমে থাকতে দেখা গেছে।
পানি নিষ্কাশনের ভালো ব্যবস্থা না থাকায় দীর্ঘ জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ বাড়বে বলে শঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কয়েক দফা প্রবল ঝড়ে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে ঘরের চালা উড়ে গেছে, গাছপালা ভেঙে পড়েছে। আর ঝড়ের অজুহাতে বিদ্যুৎ সেবা আরও ব্যাহত হচ্ছে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির শ্রীনগর জোনাল অফিসের ডিজিএম মদন গোপাল সাহা বলেন, মঙ্গলবার রাতের ঝড়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পাঁচটি বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে গেছে। ১০-১২টি মিটার নষ্ট হয়েছে। গাছপালা ভেঙে শতাধিক জায়গায় তার ছিড়ে যায়।
তিনি বলেন, “প্রায় ৮০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছিল। সকালের ঝড়ে আবার বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আমরা শ্রীনগর সদরের লাইনটি দ্রুত সচলের চেষ্টা করছি। পর্যায়ক্রমে উপজেলাব্যাপী লাইন সচল করা হবে।”
ঘনঘন লোডশেডিংয়ের বিষয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, শ্রীনগরে এখন ৪৪ শতাংশ বিদ্যুৎ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। দেশের দুটি বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন কম হচ্ছে বলে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে।