বিকালে নিজ গ্রামের একটি মাদ্রাসা মাঠে জানাজা শেষে তিন বন্ধুকে একই কবরস্থানে পাশাপাশি দাফন করা হয়েছে বলে ইউপি চেয়ারম্যান বলেন।
Published : 05 Apr 2024, 10:52 PM
একই গ্রামের ১১ বন্ধু একসঙ্গে ঈদের কেনাকাটা করতে বাড়ি থেকে বের হন। ট্রেনে চট্টগ্রাম যাওয়ার উদ্দেশে ফেনীর নাঙ্গলকোট উপজেলার হাসানপুর স্টেশনে যান তারা। ট্রেনে চড়ার আগে স্টেশনের প্লাটফর্মে সবাই মিলে সেলফি তুলে ফেইসবুকে পোস্টও করেন কয়েকজন।
কিছুক্ষণ পর ‘চট্টগ্রাম মেইল’ ট্রেনে চাপেন ১১ বন্ধু। তাদের মধ্যে তিনজন ট্রেনের ইঞ্জিনের কাছে বসেন, বাকি আটজন ভেতরে বসেন।
“পথে ট্রাকের সঙ্গে ট্রেনের সংঘর্ষে বাইরে বসা তিনজন মারা যান। ভেতরে থাকার কারণে আটজন বেঁচে যান।”
এ ঘটনায় ট্রাকে থাকা তিনজনও প্রাণ হারান।
ট্রেনের ইঞ্জিনে বসা নিহত তিন বন্ধু হলেন- কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার চিওড়া ইউনিয়নের শাকতলা গ্রামের মোহাম্মদ রুহুল আমিনের ছেলে রিফাত (১৬), মোহাম্মদ ইয়াসিনের ছেলে সাজ্জাদ (১৬) এবং নূর মোহাম্মদের ছেলে দীন মোহাম্মদ (২২)।
ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের জানান, বিকাল সাড়ে ৩টায় শাকতলা গ্রামে জানাজা শেষে নিহত তিনজনকে একই কবরস্থানে পাশাপাশি দাফন করা হয়েছে।
এর আগে শাকতলা গ্রামের আজিজিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা মাঠে তিন বন্ধুর জানাজাও হয় একসঙ্গে।
শুক্রবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার মুহুরীগঞ্জ ব্রিজ ক্রসিং পার হওয়ার সময় লাইনে ওঠে পড়া বালুবাহী একটি ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় ‘চট্টগ্রাম মেইল’ নামে ওই লোকাল ট্রেনের। এতে ছয়জন প্রাণ হারান।
ফেনীর পুলিশ সুপার মো. জাকির হাসান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মেইল ট্রেনটি ফাজিলপুর অতিক্রম করার সময় গেইট ব্যারিয়ার দাঁড়ানো অবস্থায় ছিল।
ঘটনার সময় গেইটম্যান দায়িত্বরত ছিলেন না বলে জানা গেছে।
ঘটনার পর থেকে গেইটম্যান মো. সাইফুল পলাতক আছেন জানিয়ে পুলিশ সুপার জাকির হাসান বলেন, “তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আরও পড়ু্ন: