ওই পাঁচ কর্মকর্তার অবহেলায় সরকারের সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছে দুদক।
Published : 03 Apr 2024, 11:49 PM
ফরিদপুরের মধুখালী শাখার সোনালী ব্যাংকের পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।
বুধবার ফরিদপুরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করা হয় বলে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ফরিদপুরের সহকারী পরিচালক সরদার আবুল বাসার জানান।
অভিযোগপত্রে মধুখালী শাখার মাঠকর্মী মীর আব্দুর রউফ, এ বি এম একরামুল হক, মো. হাফিজুর রহমান, মো. সাহিদুর এবং শাখা ব্যবস্থাপক মো. নাজমুল হাসানকে আসামি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ওই কর্মকর্তারা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা, বিশ্বাসভঙ্গ ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে একই নামে একাধিক ব্যক্তিকে এবং ভুয়া বা জাল পর্চা তৈরি করে তা দাখিলের মাধ্যমে অকৃষক বা ভূমিহীনদের মধ্যে ঋণ বিতরণ করেন।
এ ছাড়া এক হাজার ১১টি ঋণের আবেদনের বিপরীতে নিয়মবহির্ভূতভাবে চার কোটি ১২ লাখ ৯৪ হাজার ৫০০ টাকা বিতরণ করেন। এর মধ্যে একই পরিবারের একাধিক সদস্য রয়েছে।
ঋণ বিতরণের ছয় হতে আট বছর পার হলেও ২০২৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মাত্র ৩৬ লাখ ৫৫ হাজার ৫৬০ টাকা আদায় করা হয়। এ ছাড়া সুদসহ পাঁচ কোটি ৪৯ লাখ ১৬ হাজার ৩৪৯ টাকা বকেয়া রেখে সরকারের আর্থিক ক্ষতি সাধন করেন তারা।
যা দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পায় দুদক।
এ ঘটনায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ফরিদপুরের প্রাক্তন সহকারী পরিচালক (বর্তমান উপ-পরিচালক) কমলেশ মণ্ডল ওই পাঁচ কর্মকর্তাকে আসামি করে মামলা করেন।
তদন্ত শেষে ২ ফেব্রুয়ারি দুদকের ফরিদপুরের সহকারী পরিচালক সরদার আবুল বাসার তাদের বিরুদ্ধে ফরিদপুরের বিশেষ জজ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।