পাসপোর্ট, টিকিট ও বোর্ডিং পাস ছাড়াই বিমানবন্দরের নয়টি নিরাপত্তা স্তর ফাঁকি দিয়ে কুয়েত এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে উঠেছিল শিশু জুনায়েদ।
Published : 14 Feb 2024, 04:08 PM
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্মীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে উড়োজাহাজে উঠেছিল শিশু জুনায়েদ। কিন্তু উড্ডয়নের আগে তাকে নামিয়ে আনা হয়। বাড়ি ফিরে শিশুটি বিমানে ওড়ার ইচ্ছা পোষণ করে।
জুনায়েদের সেই স্বপ্ন পূরণ করল ওয়ালটন প্লাজা। ঢাকা থেকে উড়োজাহাজে করে তাকে কক্সবাজার নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওয়ালটন প্লাজার ব্র্যান্ড ব্যবস্থাপক ওয়াহিদুজ্জামান।
গোপালগঞ্জ ওয়াল্টন প্লাজার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা লিটন হাওলাদার ও চাচা ইউসুফ মোল্লার সঙ্গে ১২ বছর বয়সি জুনায়েদ এখন সমুদ্র সৈকতে ঘোরাফেরা করছে।
ওয়ালটন প্লাজার ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে শিশুটিকে নিয়ে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থেকে ঢাকায় আনা হয়। দুপুর ১টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একটি বিমানে চড়ে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছায় জুনায়েদ। এরপর কক্সবাজারের হোসেন প্যারাডাইস নামের একটি অভিজাত হোটেলে রাখা হয়েছে তাকে।
জুনায়েদ মুকসুদপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের পারইহাটি গ্রামের সবজি ব্যবসায়ী ইমরান মোল্লার ছেলে।
কক্সবাজার থেকে মোবাইল ফোনে জুনায়েদ বলে, “কয়েক দিন আগে উড়োজাহাজে উঠেছিলাম। সেদিন আকাশে উড়তে পারিনি। আজ উড়োজাহাজে উঠে আকাশে উড়তে পেরে অনেক ভালো লাগছে। কক্সবাজারে ঘুরতে পেরে আমি আনন্দিত। সাগর দেখলাম, সৈকত দিয়ে হাঁটছি। আমি খুব খুশি।”
ওয়ালটন প্লাজার ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, “ওই শিশুটি উড়োজাহাজে ওঠার খবর গণমাধ্যমে জানতে পারি। পরে শুনি সে পাইলট হতে চায়। তখন আমরা তাকে উড়োজাহাজে চড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই। খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম শিশুটির বাবা ওয়ালটন গ্রাহক।
“ওয়ালটন প্লাজায় কিস্তি সুরক্ষা পলিসি থেকে গ্রাহকদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে আমরা তাকে কক্সবাজারে ভ্রমণে পাঠিয়েছি। ভবিষ্যতে শিশুটি ভাল প্রতিষ্ঠানে লোখা-পড়ার সুযোগ পেলে তাকে আর্থিক সহায়তা করা হবে।”
গত ১১ সেপ্টেম্বর রাত ৩টার দিকে পাসপোর্ট, টিকিট ও বোর্ডিং পাস ছাড়াই বিমানবন্দরের নয়টি নিরাপত্তা স্তর ফাঁকি দিয়ে কুয়েত এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ওঠে শিশু জুনায়েদ।
[প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক]