কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এক তরুণকে কুপিয়ে হত্যার মামলায় সাবেক ইউপি সদস্য, দুই সহোদরসহ সাত জনের যাবজ্জীন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টায় কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ অতিরিক্ত আদালত-১র বিচারক মো. তাজুল ইসলাম সাজাপ্রাপ্তদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কুমারখালী উপজেলার পান্টিগ্রামের আব্দুল মতলেব আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ (২৪), বাদশা আলীর ছেলে রুবেল (৩৫) (পলাতক) ও ফারুক (৪২), মৃত মকছেদ আলীর ছেলে কাশেম (৫৪), মৃত ফকির চাঁদের ছেলে রুহুল আমিন (৫২), আফসার আলীর ছেলে নজরুল (৪৫) ও ফরিদ (৪৭)।
রুহুল আমিন পান্টি ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য।
এ মামলার আরও ২৯ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দিয়েছেন আদালত।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে ২০১২ সালের ১৩ এপ্রিল সকালে আব্দুল্লাহ আল মঞ্জুর ওপর হামলা চালায় প্রতিপক্ষরা। এ সময় ফালা দিয়ে ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে উপর্যুপরি কুপিয়ে তাকে হত্যা করা হয়।
১৭ বছরের মঞ্জু কুমারখালী উপজেলার পান্টি গ্রামের বাসিন্দা রাজ্জাকের ছেলে ও স্থানীয় স্কুলের ছাত্র ছিল।
এঘটনায় নিহত মঞ্জুর বাবা বাদী হয়ে ৩৭ জনের নামে কুমারখালী থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলার তদন্ত শেষে কুমারখালী থানার তৎকালীন এএসআই নাসির উদ্দিন ৩৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ এনে ২০১৫ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
পিপি অনুপ কুমার নন্দী বলেন, সাক্ষ্য শুনানি শেষে সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেকের ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সাজা ভোগের আদেশ দিয়েছেন আদালত।