মুখোশধারী ডাকাতদল মই ব্যবহার করে বাড়ির সীমানা প্রাচীরের ভেতর ঢোকে; পরে গেটের তালা ভেঙে রাম দা ও ছুরি হাতে ঘরে প্রবেশ করে।
Published : 26 Feb 2023, 02:15 PM
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় সিলেট রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজিসহ দুই বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার রাত ১টার দিকে উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের বেলতলী গ্রামে সিলেট রেঞ্জের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আব্দুল জলিলের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাতরা বাড়ির লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট নিয়ে যায়।
আব্দুল জলিল বলেন, “গ্রামের বাড়িতে আমার বাবা-মা থাকেন। ডাকাতরা ঘরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে তাদের জিম্মি করে সংসার খরচের টাকা, আমার ইউনিফর্ম ও স্বর্ণালঙ্কার লুটে নিয়ে গেছে।”
পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল জলিলের বাবা আব্দুল বাতেন বলেন, শনিবার রাতের খাবার খেয়ে তারা ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ১টার দিকে মুখে কালো মুখোশধারী ৭/৮ জন ডাকাত মই ব্যবহার করে বাড়ির সীমানা প্রাচীরের ভেতর ঢুকে গেটের তালা ভেঙে রাম দা ও ছুরি হাতে ঘরে প্রবেশ করে।
“ঘরে ঢুকেই তাদের কয়েকজন আমাদের গলায় রাম দা ঠেকিয়ে ঘিরে রাখে। বাকিরা ঘরে থাকা আড়াই ভরি স্বর্ণ, নগদ ১ লাখ ১৮ হাজার টাকা ও আমার ছেলে পুলিশ কর্মকর্তার দুই সেট ইউনিফর্ম লুট করে। পরে তারা সব নিয়ে পালিয়ে যায়।”
তাদের সবার পরনে কালো রঙের গেঞ্জি, হাফ প্যান্ট ও মুখে কালো মুখোশ ছিল বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
মাওনা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মিন্টু মোল্ল্যা বলেন, ডাকাতরা পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল জলিলের বাড়ির পেছন দিকে কাঁটা তারের বেড়া মই দিয়ে টপকে ভেতরে ঢোকে। এরপর তারা আধ পাকা টিনসেড বারান্দায় থাকা থাই গ্লাস খুলে আব্দুল বাতেনের শোয়ার ঘরে ছুরি, শাবল ও রড নিয়ে প্রবেশ করে।
“পরে তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মালামাল লুটে করে পালিয়ে যায়।”
তিনি বলেন, পরে ওই ডাকাতদল রাত সাড়ে ৩টার দিকে দুই-আড়াই কিলোমিটার দূরে মাওনা ইউনিয়নের ইন্দ্রপুর গ্রামের ফয়সাল আহমেদের বাড়িতে হানা দেয়।
“সেখান থেকেও তারা নগদ টাকা ও মালামাল লুট করে।”
ফয়সাল আহমেদ বলেন, “রাত সাড়ে ৩টার দিকে আমার বাড়িতে একদল ডাকাত হানা দেয়। তারা বাড়ির সদস্যদের জিম্মি করে ৮ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ২ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।”
গাজীপুরের পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলম জানান, ডাকাতির ঘটনায় দুপুর পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।
এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা গেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ডাকাতরা একবার ডাকাতি করে চলে গেলে আর ধরা সম্ভব হয় নাকি? তারপরও চেষ্টা চলছে।”