‘যুবদল নেতাকে না পেয়ে’ বাবা-মা-বোনকে মারধরের অভিযোগ

অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা কোরবান আলী৷

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Nov 2023, 04:00 PM
Updated : 20 Nov 2023, 04:00 PM

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় এক যুবদল নেতার বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে৷ এ সময় আহত হয়েছেন তার বাবা, মা ও বোন৷

সোমবার বিকালে উপজেলার গোলাকান্দাইল উত্তরপাড়া এলাকায় গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ওমর হোসেনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে বলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (‘গ’ সার্কেল) আবির হোসেন জানান৷

ওমর হোসেনের বাবা ৬৫ বছর বয়সী সেলিম ভূঁইয়া বলেন, বেলা ৩টার দিকে তার টিনশেড বাড়ির সামনে কয়েকটি মোটরসাইকেল এসে থামে৷ বাড়ির লোকজন তখন দুপুরের খাবার খেয়ে বিশ্রাম করছিল৷

“এমন সময় কাপড় দিয়ে মুখ ঢাকা ১৫-২০ জন লোক বাড়িতে ঢুকে আমার ছেলে ও স্থানীয় এক বিএনপি নেতার নাম ধরে গালাগালি করতে থাকে৷ ঘরে ঢুকে ওমরকে খুঁজতে থাকে তারা৷ না পেয়ে হাতের হকিস্টিক, লোহার পাইপ ও লাঠিসোঁটা দিয়ে ঘরের টিভি-ফ্রিজসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করে৷”

সেলিম ভূঁইয়া বলেন, “তারা আলমারির তালা ভেঙে টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে। বাধা দিতে গেলে তারা আমার স্ত্রী, মেজো মেয়ে ও আমাকে লাঠি দিয়ে পেটায়৷ আমি দুটো লাঠির আঘাত হাত দিয়ে ঠেকাই৷ কিন্তু মেজো মেয়েকে তারা খুব মারধর করেছে৷

“অন্তত ১৫ মিনিট বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের পর তারা ‘জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিয়ে মোটরসাইকেলে করে চলে যায়।”

সেলিমের দাবি, স্থানীয় কারো সঙ্গে তার পরিবারের কোনো বিরোধ নেই। শুধু তার ছেলে ওমর হোসেন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে এ হামলা হয়েছে।

যুবদল নেতা ওমর হোসেনের অভিযোগ, গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কোরবান আলী হামলাকারীদের নেতৃত্ব দেন।

ওমর বলেন, “রোববার সকালেও তারা আমার বরফকলে হামলা করে আমাকে না পেয়ে দুই কর্মচারীকে তুলে নিয়ে মারধর করে৷ পরে আমার কারখানায় তালা দেয়৷ এখনও সেটা তালাবদ্ধ৷”

অভিযোগ অস্বীকার করে যুবলীগ নেতা কোরবান আলী বলেছেন, হামলার ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না৷ রোববার তিনি ওমরের কারখানায় বরফ কেনার জন্য গিয়েছিলেন৷

“আমার ভাতিজির বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য বরফ কিনতে গিয়েছিলাম আমি৷ সেখানে কাউকে মারধরের সঙ্গে আমি জড়িত না।”

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবির হোসেন বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

মামলা করবেন কি-না জানতে চাইলে যুবদল নেতা ওমর হোসেন বলেন, “এর আগেও আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে হামলা হইসে৷ পুলিশে অভিযোগ করেও প্রতিকার পাইনি৷ পুলিশে অভিযোগ করে লাভ হয় না, উল্টো বিএনপি করি বলে হয়রানি হতে হয়৷”