গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলায় ডাব চুরির অভিযোগ দিয়ে এক স্কুল ছাত্রকে হাত বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার রাতইল ইউনিয়নের শ্যামবাজারে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন ইউপি সদস্য মো. রবিউল ইসলাম।
১০ বছর বয়সী ওই শিশুর হাতবাঁধা একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ দেখা দেয়।
স্থানীয় বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রটির মা বলেন, “সকালে তার ছেলে বাড়ি থেকে সরাসরি স্কুলে যায়। দুপুরে টিফিনের সময় শ্যামবাজার গ্রামের হেমায়েত শেখের ছোট ভাই ইউসুফ শেখ শিশুটিকে স্কুল থেকে টেনে-হেঁচড়ে ভ্যানে তুলে তার বাড়িতে নিয়ে যায়।
“ডাব চুরির অভিযোগ তুলে শিশুটির দুহাত রশি দিয়ে বেঁধে মারধর করে হেমায়েত শেখ। পরে তাকে বাজারে নিয়ে বেঁধে রাখে তারা।”
তিনি আরও বলেন, “পরে হেমায়েত শেখ লোক মারফত আমাদের কাছে খবর পাঠায়, ছেলেকে বাজারে বেঁধে রাখা হয়েছে। তাকে ছাড়িয়ে না আনলে পুলিশে দেওয়া হবে।”
ছেলেকে নির্যাতনের সঠিক বিচার দাবি করেছেন তার মা।
শিশুটিকে নির্যাতনের কথা জানিয়ে ইউপি সদস্য মো. রবিউল ইসলাম বলেন, “খবর পেয়ে শিশুটিকে হেমায়েত শেখের জিম্মা থেকে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে দিয়ে আসি।”
এ বিষয়ে হেমায়েত শেখ বলেন, “গাছের দুটি ডাব চুরি করায় শিশুটিকে ধরে নিয়ে আসে আমার ছোট ভাই ইউসুফ শেখ।
“অভিভাবকের হাতে তুলে দেওয়ার আগে শিশুটিকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য মাছ বাজারে এনে দড়ি দিয়ে হাত বেঁধে রেখেছিলাম। পরে রবিউল মেম্বার এসে ছাড়িয়ে নিয়ে গেছে।”
কাশিয়ানী থানার ওসি মোহাম্মদ ফিরোজ আলম বলেন, শিশু নির্যাতনের কোনো অভিযোগ পাইনি। পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।