এক শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত করার ঘটনায় পাশের গ্রামের এক তরুণের সঙ্গে দিন পনের আগে ঝগড়া হয়েছিল নিলয়ের।
Published : 02 Mar 2024, 02:06 AM
নড়াইলের কালিয়ায় ‘উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায়’ এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কালিয়া উপজেলার খাশিয়াল ইউনিয়নের তালবাড়িয়া গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে নড়াগাতি থানার ওসি মুস্তাফিজুর রহমান জানান।
নিহত নিলয় মোল্লা কালিয়া উপজেলার টোনা গ্রামের সাবেক পুলিশ সদস্য সুলতান আহমেদ মোল্লার ছেলে। স্থানীয় টোনা দাখিল মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণিতে পড়তেন তিনি।
এ ঘটনায় নিলয়ের সঙ্গে থাকা তামিম খান নামে আরেক কিশোর আহত হয়েছেন। তিনি একই গ্রামের একরাম খানের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে পুলিশ জানায়, নিলয় ও তামিমসহ এলাকার কয়েকজন তালবাড়িয়া গ্রামে ওয়াজ শুনে বাড়ি ফেরার পথে ২০ থেকে ২৫ জনের একটি দল তাদের পথ আটকায়।
তারা নিলয় ও তামিমকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নিলয়কে মৃত ঘোষণা করেন।
আহত তামিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দিন পনের আগে তাদের গ্রামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত করে শাকিল খান নামে ব্রাহ্মণপাটনা গ্রামের এক তরুণ। নিলয় মোল্লা এর প্রতিবাদ করে। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শাকিলকে চড় দেন নিলয়। পরে স্থানীয়রা ঘটনাটি মীমাংসা করে দেন।
“ওই ঘটনার জের ধরে আজকে মাহফিল থেকে ফেরার পথে শাকিল বিড়ি খাওয়ার কথা বলে আমাকে ও নিলয়কে ডেকে নিয়ে রামদা, সেভেন গিয়ার দিয়ে আঘাত করে। আমরা বাঁচার জন্য চিৎকার চেঁচামেচি করলে মাহফিলের লোকজন এসে আমাদের উদ্ধার করে।”
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, খাশিয়াল ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রেজ্জাক খন্দকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তারা মাহফিল থেকে ফেরার পথে জানতে পারেন, ব্রাহ্মণপাটনা গ্রামের কামরুল খানের ছেলে শাকিল খানের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন লোক দুটি ছেলেকে কুপিয়ে পালিয়েছে।
“পরে তাদের উদ্ধার করে আমরা কালিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে ডাক্তার নিলয়কে মৃত ঘোষণা করে।”
কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক পার্থ প্রতিম বিশ্বাস বলেন, হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই নিলয়ের মৃত্যু হয়েছিল। তামিমকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
নিলয়ের মরদেহের ময়নাতদন্ত জন্য সকালে নড়াইল সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে জানিয়ে ওসি মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, “এ ঘটনার সাথে জড়িতদের ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।”
এ ঘটনায় শাকিল খান বা তার পরিবারের বক্তব্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানতে পারেনি।