জানাজায় উপস্থিত আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীসহ অনেকেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন।
Published : 26 Apr 2023, 08:42 PM
লক্ষ্মীপুরে গুলিতে নিহত সাবেক যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতার জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
বুধবার বিকাল ৫টার দিকে সদর উপজেলার বশিকপুর ডি এস ইউ কামিল মাদ্রাসা মাঠে তাদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। লোক সমাগম বেশি হওয়ায় পরে একই মাঠে দ্বিতীয় জানাজা হয়।
এ সময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীসহ উপস্থিত অনেকেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন।
মঙ্গলবার রাতে লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান এবং জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব হোসেনকে গুলি করে হত্যা করে বন্দুকধারীরা।
জানাজায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু, আওয়ামী লীগ নেতা এম আলাউদ্দিন, মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি এম এ সাত্তার, কেন্দ্রীয় যুবলীগের উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সামছুল ইসলাম পাটওয়ারী, লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সালাহ উদ্দিন টিপু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি হুমায়ুন কবীর পাটওয়ারী, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হাসান পলাশ, সদর উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির চেয়ারম্যাম মামুনুর রশীদসহ হাজারো মানুষ অংশ নেন।
জানাজায় বক্তব্যে নোমানের ভাই বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান ও রাকিবের ভাই রুবেল হোসেন হত্যাকারী হিসেবে এক ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে তার শাস্তি দাবি করেন।
মঙ্গলবার রাতে নোমান ছাত্রলীগ নেতা রাকিবকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে নাগেরহাটের দিকে যাচ্ছিলেন। নাগেরহাটের কাছাকাছি পৌঁছলে বন্দুকধারীরা তাদের গুলি করে। হামলাকারীরা তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে।
গুলির শব্দে স্থানীয়রা গিয়ে গুলিবিদ্ধ দুজনকে পড়ে থাকতে দেখেন। মাথায় ও মুখে গুলিবিদ্ধ হয়ে নোমান মারা যান ঘটনাস্থলে। গুলিবিদ্ধ রাকিবকে ঢাকা নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনিও মারা যান।
নিহত নোমান সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের বশিকপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি প্রস্তাবিত জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক। নিহত রাকিব বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা ও একই ইউনিয়নের নন্দীগ্রামের রফিক উল্যার ছেলে।
আরও পড়ুন