শিক্ষা বলতে শুধু লাখ লাখ `এ প্লাস’ নয়, মান উন্নয়নের দিকে নজর দিতে হবে; যা প্রাথমিক শিক্ষা থেকেই শুরু করতে হবে বলে মত সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ-সিপিডির।
শনিবার দুপুরে গাইবান্ধায় ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা পরিস্থিতি: আমাদের করণীয়’ বিষয়ে সিপিডির সংলাপে এসব কথা বলেন আলোচকরা।
জেলা সদরের এস কে এস ইন জলধারার সভা কক্ষে আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন সিপিডির সম্মানীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। প্রধান অতিথি ছিলেন গাইবান্ধা-১ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন করতে হলে মানবসম্পদের উন্নয়ন করতে হবে। এ বিষয়ে দলমত নির্বিশেষে সবাই একমত। শিক্ষা বলতে শুধু লাখ লাখ ‘এ প্লাস’ বা গোল্ডেন পাওয়া নয়; শিক্ষার মানের উন্নয়ন করতে হবে।
“আর মান নিশ্চিত করতে হলে তা প্রাথমিক শিক্ষা থেকেই শুরু করতে হবে। যে পরিমাণ অর্থ সরকার শিক্ষা খাতে বরাদ্দ দেয় তা যথেষ্ট নয়। সম্পদের অভাব সত্বেও শিক্ষা খাতে আরও বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব।
“বিশ্বব্যাপী এটা প্রচলন যে, শিক্ষা খাতের মোট বরাদ্দের ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ প্রাথমিক শিক্ষা খাতে যেতে হবে। কিন্তু আমাদের কত দেওয়া হয় তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।”
সংলাপে বক্তারা বলেন, সরকারি প্রাথমিক শিক্ষায় নানা অব্যবস্থাপনা আছে। চরাঞ্চলে স্কুল আছে তো শিক্ষক নেই, শিক্ষক থাকলেও পরিদর্শন যথেষ্ট নয়, আবার শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়ার হার অনেক। উপবৃত্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে এলাকার দারিদ্র্যতার সঙ্গে সমন্বয় করে দেওয়া দরকার।
বিশেষ করে চরাঞ্চলের শিক্ষার্থী, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, দলিত রবিদাস শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নানা রকমের সমস্যা থাকেন; তাদের ক্ষেত্রে এলাকাভিত্তিক পলিসি গ্রহণ এবং চরাঞ্চলের জন্য পৃথক শিক্ষা ক্যালেন্ডার দাবি তোলেন বক্তারা।
সিপিডির ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় সংলাপে মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সংস্থাটির জ্যেষ্ঠ রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান।
আলোচনা করেন অধ্যাপক জহুরুল কাইয়ুম, সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আব্দুর রশিদ সরকার, অধ্যাপক অনামিকা সাহা।
এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।